Google Alert – সেনাবাহিনী
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের গাজা শহর সম্পূর্ণ দখলের পরিকল্পনার আওতায় ৬০ হাজার রিজার্ভ সৈন্যকে ডেকেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বুধবার (২০ আগস্ট) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সরকার গাজায় চলমান সামরিক অভিযানে আরও ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টার কান বুধবার জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ গাজা শহর দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করার পর সেনাবাহিনীর এই সিদ্ধান্ত এসেছে।
৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব হামাসের
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ঘনবসতিপূর্ণ গাজার বিভিন্ন এলাকায় নতুন সামরিক অভিযান চালানোর অনুমোদন দিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে গাজা সিটির চারপাশে ধাপে ধাপে ‘সুনির্দিষ্ট ও লক্ষ্যভিত্তিক’ অভিযান চালানো হবে। এরই মধ্যেই জেইতুন ও জাবালিয়া এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই রিজার্ভ সৈন্য ডাকার বিষয়ে অর্ডার ৮ নামে পরিচিত জরুরি খসড়া আদেশ জারি করেছ।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, গাজা নিয়মিত সেনাদের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিও অনুসারে, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ‘দীর্ঘমেয়াদী অভিযানের’ প্রস্তুতি হিসেবে সেনাবাহিনীর মধ্যে রিজার্ভ বাহিনীর সংখ্যা মোট ১ লাখ ৩০ হাজোরে উন্নীত করা হবে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিওথ আহরোনোথ জানিয়েছে, সৈন্যদের একত্রিতকরণ ২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে, আগামী দিনে মন্ত্রিসভায় দখল পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
গত ৮ আগস্ট গাজা শহর দখলের নেওয়ার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পরিকল্পনায় অনুমোদন করেছে দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। তবে নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনা প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক বিশ্বে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং ইউরোপের ২৭টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কঠোর সমালোচনার পাশাপাশি নেতানিয়াহুকে এই পরিকল্পনা স্থগিতের আহ্বান জানায়। কিন্তু এসব আহ্বানকে উপেক্ষা করে গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলের এই অভিযানে গাজায় মানবিক বিপর্যয় আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। উপত্যকার অধিকাংশ বাসিন্দা বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, বহু এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং দুর্ভিক্ষের হুমকির মধ্যে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।