Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম
চলতি মৌসুমে টানা বৃষ্টিপাতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। এতে দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে পানিতে ডুবে আছে রাঙামাটির মনোরম ঝুলন্ত সেতুটি।
৩০ জুলাই ডুবতে শুরু করে এ সেতু। বর্তমানে তিন ফুট পানির নিচে ডুবে আছে।
এ অবস্থায় নিরাপত্তার জন্য সেতুতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন পর্যটন কর্তৃপক্ষ। তাই সেতু দিয়ে হাঁটাচলা বন্ধ। এতে মন:ক্ষুণ্ণ করে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা।
জানা যায়, শুক্র ও শনিবারসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে যাচ্ছেন বেশকিছু সংখ্যক পর্যটক। কিন্তু বর্তমানে দৃষ্টিনন্দন রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে থাকায় সেখানে ঘুরতে গিয়ে ফিরছেন নিরাশ হয়ে। শুক্রবারও সেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক ও দর্শনার্থীর সমাগম হয় বলে জানান রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
তারা জানান, সেতু ভ্রমণ বন্ধ থাকায় দৈনিক ২০-৩০ হাজার টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। পানি সরে না যাওয়া পর্যন্ত সেতুতে পদচারণা বন্ধ থাকবে। সেতুটি আরও উঁচুতে স্থাপন করা গেলে প্রতি বছর বর্ষায় এভাবে তলিয়ে যেত না।
রাঙামাটিতে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ ওই ঝুলন্ত সেতু ঘিরেই। এটির দৈর্ঘ্য ৩৩৫ ফুট। ১৯৮৫ সালে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এ ঝুলন্ত সেতুটিতে বছরে কয়েক লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করে থাকেন। সেতুতে প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা। সেই হিসাবে বছরে এর রাজস্ব আয় প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি; কিন্তু কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে ঝুলন্ত সেতুটি কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে ৩ থেকে ৪ মাস ডুবে থাকে। এর স্থায়ী সমাধানের কোনো উদ্যোগ আজও নেওয়া হয়নি। তাই প্রতি বছর সেতুটি ডুবে থাকাকালে হতাশায় ফিরতে হয় পর্যটকদের।
পর্যটকদের অনেকে বলেন, রাঙামাটি ঘুরতে গিয়ে দেখা যায় সেতুটি ডুবে আছে। কিন্তু আসার আগে তা জানা ছিল না। সেতু ডুবন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে আসলে খুব খারাপ লাগছে। অনেক দূর থেকে আসছি সেতু দেখার জন্য। কিন্তু মনোরম ঝুলন্ত সেতুটি এখন ডুবন্ত দেখছি।
রাঙামাটি পর্যটন মোটেল ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ৩০ জুলাই সেতু ডুবে যাওয়ার পর থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সেতুতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে একই স্থানে একটি আধুনিক সেতু নির্মাণের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। এটি হলে ভবিষ্যতে আর এ সমস্যা আর থাকবে না। কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর ১০৭ ফুট হলেই ডুবে যায় এ ঝুলন্ত সেতু।