The Daily Ittefaq
যেসব নিরাপত্তা বাহিনী বারবার গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিলুপ্তি অথবা পুনর্গঠনসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম ও খুনের শিকার পরিবারগুলোর সংগঠন ‘মায়ের ডাক’। ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম দিবসকে সামনে রেখে শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়।
সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি মানববন্ধনে বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটা সত্য সামনে আনব, যেগুলো এখনো পর্যন্ত গোপন রাখা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই—কোনো সেনানিবাস, কোনো ব্যারাক আমাদের ভয় দেখাতে পারবে না।’
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে গুমের সব রিপোর্টকৃত ঘটনার নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত শুরু করা; গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধানে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে একটি জাতীয় কার্যপ্রক্রিয়া গঠন; গুম ও নির্যাতন থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও আইনি হয়রানি বন্ধ করা; গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার যেন নিখোঁজ আত্মীয়ের আর্থিক ও সম্পত্তিগত বিষয়াদি পরিচালনায় আইনি অধিকার পায়, তা নিশ্চিত করা; গুম থেকে বেঁচে ফেরা ও তাঁদের পরিবারের জন্য একটি জাতীয় সুরক্ষা কাঠামো প্রণয়ন; সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার রোধে অবিলম্বে সংস্কার আনা; গুমবিরোধী যেকোনো প্রস্তাবিত আইনকে আন্তর্জাতিক কনভেশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং আনুষ্ঠানিক কনভেনশনটি অনুসমর্থন করা।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা। উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খানসহ কয়েকজন রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি।
অনুষ্ঠান শেষে ‘মেমোরিজ অব ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।