Google Alert – সেনাপ্রধান
কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ করে যদি পাকিস্তানের কাছে অত্যাচারিত হতে হয়, তাও শান্তি ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে পাকিস্তানি মনোভাব নিয়ে পোলাপান জন্ম নিল কীভাবে।’
শনিবার ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌর শহরের ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘কাদেরিয়া বাহিনী’র উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
হাসিনা হটাও আন্দোলনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা জনগণ হাজার বছর মনে রাখবে জানিয়ে সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ওয়াকার সাহেবকে আমি ভালোভাবে চিনি না। তবে আগে তার গ্রামে অনেক সময় কাটিয়েছি। সেনাবাহিনী আমাদের গর্বের, অন্য দেশে সেনাবাহিনী পরে হয় কিন্তু আমাদের দেশে সেনাবাহিনী আগে হয়েছে। হাসিনা হটাও আন্দোলনে সেনাবাহিনী যে ভূমিকা রেখেছে তা জনগণ হাজার বছর মনে রাখবে। কেউ কেউ বলছে, সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্ট পুড়িয়ে দেবে, সেনাপ্রধান তাদের দেখে নিন আপনি।
সেনাপ্রধান প্রসঙ্গে আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট আপনি বলেছিলেন ভরসা করতে। দেশ হেফাজত করবেন কিন্তু আজ কোথায় হেফাজত? ৭১ মঞ্চের অনুষ্ঠানে যারা মব করেছে তারা অপরাধী, না যারা ভাঙতে গেছে তারা অপরাধী? আপনি দেখেন না কে অপরাধী? ২৬ বছর যাবৎ কৃষক শ্রমিক-জনতা লীগ করে হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি।
বীর উত্তম বলেন, আর কোটা আন্দোলনের কারণে শেখ হাসিনার বিদায় হয়নি, আল্লাহর গজবের কারণে হাসিনার বিদায় হয়েছে। গ্রেফতার করবেন, তাহলে নিয়ে যান। বঙ্গবন্ধুর মাথায় প্রস্রাব করার পর, ‘লতিফ সিদ্দিকীর গালে গালে জুতা মারো তালে তালে’ বলার পর আমার আর কী করবেন?’
মুক্তিযোদ্ধা লতিফ সিদ্দিকী প্রসঙ্গে সমাবেশে বক্তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে সবাই ঐক্য গড়ে তোলেন। ৭১ বাদ দিয়ে কখনও বর্তমান হবে না। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আমরা আগুনে ঝাঁপ দিতে পারি। যারা বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রস্রাব করেছে তারা অশিক্ষিত। অপর দিকে সরকার লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করেছে, তাকে শুধু গ্রেপ্তার করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা অপমান করেছে। আমরা লতিফ সিদ্দিকীর মুক্তি চাই।
এ সময় কোম্পানি কমান্ডার ফজলুল হক বীরপ্রতীকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন কাদেরিয়া বাহিনীর কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম, কোম্পানি কমান্ডার হুমায়ুন বাঙ্গাল, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই ও কালিহাতী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, ঘাটাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান প্রমুখ।
এদিকে, সমাবেশ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভুঞাপুর উপজেলা কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতির ছেলে উদয়ের ওপর হামলা চালান উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। এমন অভিযোগ সমাবেশ আয়োজকদের। এছাড়াও জয় বাংলা স্লোগানের প্রতিবাদে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল থেকে ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বর পর্যন্ত বিক্ষোভ করে এবং সেখানেই তারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
সভা শেষে কাদের সিদ্দিকীকে দালাল বলে স্লোগান দিতে থাকে কিছু লোকজন। পরে পুলিশ পাহারায় তিনি এলাকা ত্যাগ করেন।