Google Alert – আর্মি
কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় তিনটি ট্রলারসহ ১৮ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। গত রোববার দিবাগত রাত ৯টার দিকে সাগরের বাদর হাচা নামক এলাকায় বাংলাদেশের জলসীমায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীরা জানিয়েছেন, মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে আরাকান আর্মির দুটি স্পিডবোট এসে তিনটি ট্রলার অবরুদ্ধ করে। পরে তারা ১৮ জেলেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নাইক্ষ্যংদিয়া ঘাঁটিতে নিয়ে যায়।
ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের সবাই সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে রয়েছেন— আবু তাহের মাঝি, মনি উল্লাহ, রহমত উল্লাহ, আবু বক্কর, সৈয়দ উল্লাহ, রফিক, আবছার মাঝি, মো. তাহের, মতলব, হাফেজ আহমদ, মো. আমিন, সালা উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, আলমগীর মাঝি, আব্দুর রহিম, মো. আলম, সাব্বির ও তৈয়ুব। ট্রলার তিনটির মালিক সেন্ট মার্টিনের গলাচিপা এলাকার আবছার, আবু তাহের ও আলমগীর।
সেন্টমার্টিন ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিজ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, বাংলাদেশের জলসীমার ভেতর থেকেই জেলেদের ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। ইতোমধ্যে কোস্টগার্ড, বিজিবি ও পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এর আগে গত ৫ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ৬৯ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। তাদের কাউকেই এখনো মুক্তি দেওয়া হয়নি। গত ২৮ আগস্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হাতে বর্তমানে ৫১ জন বাংলাদেশি জেলে জিম্মি অবস্থায় রয়েছে।
পরদিন ২৯ আগস্ট সকালে মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশের চেষ্ঠা করা ১২২ জেলেকে আইন ভঙ্গের দায়ে কোস্টগার্ড আটক করে এবং শনিবার জলসীমা অতিক্রম না করার শর্তে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।