Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল
আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অন্তত তিন হাজার মানুষ। রোববার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে অনুভূত হওয়া ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে কুনার প্রদেশে অন্তত তিনটি গ্রাম। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
রাতভর উদ্ধারকাজ চালালেও দুর্গম পার্বত্য এলাকা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বহু স্থানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ভূমিকম্প আঘাত হানার আগের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা ভারি বৃষ্টি হয়েছে। ভূমিধস ও পাথরধসের ঝুঁকি থাকায় অনেক সড়ক অচল হয়ে পড়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ইউসুফ হাম্মাদ মঙ্গলবার জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা এরইমধ্যে ৯০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৩,০০০ জন। তবে কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছালে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান সরকার। কাবুলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শরাফাত জামান আন্তর্জাতিক সাহায্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের এখনই সাহায্য দরকার। কারণ বহু মানুষ তাদের প্রাণ ও ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও জনবল না থাকায় উদ্ধারকাজ জটিল হয়ে উঠেছে।’
এদিকে আন্তর্জাতিক মহল সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। জাতিসংঘ জরুরি তহবিল থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে। যুক্তরাজ্য ঘোষণা করেছে এক মিলিয়ন পাউন্ড, যা জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল ও রেড ক্রসের মাধ্যমে বিতরণ হবে। ভারতও কাবুলে এক হাজার তাঁবু ও কুনারে ১৫ টন খাদ্য সহায়তা পাঠিয়েছে। চীন, সুইজারল্যান্ডসহ আরও কয়েকটি দেশ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাস্তবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে পর্যাপ্ত সহায়তা পৌঁছাতে সময় লাগছে।
২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে আন্তর্জাতিক সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। মেয়েদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর নীতির কারণে বিদেশী তহবিল ও মানবিক সহায়তা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। ফলে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ তালেবান প্রশাসনের সীমিত সম্পদকে আরো চাপের মুখে ফেলেছে।