নীলফামারীতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে মানববন্ধন

RisingBD – Home

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে হাবিব নামে এক শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অধ্যয়নরত রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় নিহত শ্রমিক হত্যার বিচার, পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। 

মানবন্ধনে চাইলাম ভাত খাইলাম বুলেট, হাবিব হত্যার বিচার চাই, শ্রমিক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, আমার ভাইয়ের বুকে গুলি কেন? ইন্টেরিম জবাব দে, শ্রমিকের জীবনের দায় কে নিবে?, চাইলাম ন্যায্য অধিকার খাইলাম গুলি ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড শিক্ষার্থীদের হাতে দেখা যায়। 

ইবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুর আলম বলেন, “ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের লড়াই অগ্রণী ভুমিকায় ছিল আমার শ্রমিক মেহনতী জনতা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা তাদের পর্যাপ্ত মর্যাদা দিতে পারিনি। আমাদের এই পুঁজিবাদী সমাজে সবসময় শ্রমিকরা নিষ্পেষিত অবহেলিত এবং রক্ত ঝরিয়ে গেছে।”

তিনি বলেন, “নীলফামারীর ইপিজেডে আমাদের এক শ্রমিক ভাই ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছিল। তাকে যৌথবাহিনী গুলি করে নিহত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। যাদের টাকায় আমাদের দেশ চলছে, তাদের ওপর আপনারা গুলি চালাবেন, এটা আমরা কখনোই সহ্য করব না। আমরা এই হত্যার দ্রুত সুষ্ঠ তদন্ত করে যারা অভিযুক্ত তাদের শাস্তির দাবি করছি।”

ইবি শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “উত্তরবঙ্গের ইতিহাস শুধু বিদ্রোহের ইতিহাস, কৈবর্ত বিদ্রোহ থেকে শুরু করে তেভাগা আন্দোলন। সর্বশেষ জুলাই আন্দোলনে যে একটি ঘটনা পুরো বাংলাদেশের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। সেই শহীদ আবু সাঈদের জন্মভূমি উত্তরবঙ্গ। যখন যেই সরকারই ক্ষমতায় এসেছে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে বৈষম্য করেছে। এই জুলাই আন্দোলনে ২৮৪ জন কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষ শহীদ হয়েছেন।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা বারবার দেখেছি জুলাই পক্ষের শক্তি যারা তাদের প্রতি যৌথবাহিনীর এত ক্ষোভ কেন? শ্রমিকরা শুধু তাদের অধিকার টুকু চেয়ে ছিল, তারা তো অস্ত্র নিয়ে দাঁড়ায়নি। তাদের দোষটা কোথায়? তাদের দোষ একটাই তারা জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল। আমি মনে করি, সরকারকে এই শ্রমিক হত্যার দায় অবশ্যই নিতে হবে। দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই, শ্রমিক হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাই।”


মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে হাবিব নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You missed