শ্রমিক নিহতের ঘটনায় উত্তরা ইপিজেডে সব কারখানা বন্ধ

Google Alert – সেনাবাহিনী

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিক আন্দোলন রূপ নিয়েছে সহিংসতায়। ২৩ দফা দাবিতে গত শনিবার থেকে এভারগ্রীন কোম্পানির শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করলে তা ধীরে ধীরে অন্য কারখানার শ্রমিকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে।

গত মঙ্গলবার আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনী মাঠে নামলে সংঘর্ষ বাধে। এতে হাবিবুর রহমান হাবিব নামে এক শ্রমিক নিহত হন, আহত হন অন্তত ১৫ জন। পরে বিকেলের দিকে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ উদ্যোগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনার পর গতকাল বুধবার ইপিজেডের সব কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মঙ্গলবার জানানো হয়েছিল, গতকাল বুধবার কোনো কারখানা খোলা থাকবে না। বিকেলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বৃহস্পতিবার থেকে কারখানাগুলো চালু থাকবে কি না।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর উত্তেজনা ছড়ালেও সেনাবাহিনী ও পুলিশ মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আমরা চাই দ্রুত সমস্যার সমাধান করে ইপিজেড চালু করা হোক।

আরেক বাসিন্দা সুলতানা রাজিয়া বলেন, কয়েকদিন ধরে কিছু শ্রমিক আন্দোলন করছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে ইপিজেড বন্ধ হয়ে যাওয়ার গুঞ্জন আমরা শুনছি। তা হলে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাব।

ইপিজেড মোড়ে দোকানদার রইছুল ইসলাম বলেন, কোম্পানিগুলো বন্ধ থাকায় বেচাকেনা নেই। এখানে যারা আসেন, ইপিজেডের উদ্দেশেই আসেন। বিক্রি না থাকায় লোনের কিস্তি আর পরিবারের খরচ সামলাতে হিমশিম খেতে হবে।

এদিকে শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রমিক সংগঠন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নীলফামারী শহরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া যাবে না। গুলির নির্দেশদাতাকে শনাক্ত করে তদন্তসাপেক্ষে বিচার করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রাণনাশের ঘটায় এমন কোনো অস্ত্র নীলফামারী জেলার কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে না। মোট সাত দফা দাবি তুলে ধরে বক্তব্য দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিওনসহ স্থানীয় নেতারা।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *