প্রথম আলো
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিতে এসে ইপিজেডের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারায় সড়ক অবরোধ করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন উত্তেজিত শ্রমিকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। সে সময় গুলিতে ওই শ্রমিক নিহত হন। খবরের প্রতিবেদন সূত্রে জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে ছিল সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার বাহিনী ও বেপজার নিরাপত্তা বাহিনী। সংঘর্ষের ফলে এসব বাহিনীর ১৪ জন সদস্য আহত হয়েছেন।
এভারগ্রিন কারখানার শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে তিন দিন ধরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এ তিন দিনেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারখানামালিক, বেপজা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন কতটা আন্তরিক ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিরসনে তারা তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করলে কি শ্রমিকের এই প্রাণহানি দেখতে হতো? নিহত শ্রমিক ছিলেন আরেকটি কারখানার। সেখানে সারা রাত কাজ শেষে তিনি সকালে ইপিজেড থেকে বের হওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন।