The Daily Ittefaq
ভেনিজুয়েলায় আবারও হামলার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, মাদকপাচারকারীদের ওপর ফের হামলা চালানো হবে। তার এই হামলার বৈধতা এবং ল্যাটিন আমেরিকাভুক্ত দেশগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মেক্সিকো সিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কো রুবিও বলেন, মেক্সিকোর মতো দেশগুলোর সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে সমন্বয় হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের স্বার্থে যে কোনো কঠোর পদক্ষেপ নিতে একটুও ভাববে না। এর আগের দিন ভেনিজুয়েলায় একটি নৌযানে মার্কিন হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও দাবি করেছেন, নৌযানে মাদক পাচারকারীরা ছিল। যদিও এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি। রুবিও এই বিমান হামলাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চলমান ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এর একটি পরিবর্তনশীল কৌশলের অংশ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। রুবিও বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে, বহু বছর ধরে এমন গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছে, যা আমাদের মাদকের নৌকাগুলোকে বাধা দিতে এবং বন্ধ করতে সাহায্য করেছে। আমরা তা করেছি।’ কারণ নিষেধাজ্ঞা কাজ করে না বলে রুবিও জানান। তার মতে, যে কোনোভাবেই মাদককারবারিদের থামাতে হবে। তার দাবি, ঐ নৌযানটি আমেরিকার দিকে আসছিল। রুবিও আরো জানান, হামলার অনুমোদন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই দিয়েছিলেন। রুবিও আরো জানান, ‘প্রেসিডেন্টের অনুমোদনে আমরা নৌযানটিকে বাধা না দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছি। এটি আবারও ঘটবে বলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান। তবে কখন আবার হামলা চালানো হবে, সেটি তিনি স্পষ্ট করেননি।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে ভেনিজুয়েলার সঙ্গে সামরিক উত্তেজনা চলছে আমেরিকার। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন। বর্তমানে সাতটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও একটি পারমাণবিক সাবমেরিন সেখানে মোতায়েন রয়েছে। যেখানে রয়েছেন প্রায় ৪ হাজার ৫০০ সেনা। ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, তার সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ শুরু করেছে আমেরিকা। পহেলা সেপ্টেম্বর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে দেশের শাসনব্যবস্থা বদলের চেষ্টা করছে আমেরিকা। —রয়টার্স