বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের এত সামরিক ঘাঁটি কেন

Google Alert – সশস্ত্র

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীও বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী এবং ১৯৫টি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অবস্থান রয়েছে। বলা যায়, অপ্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির অধিকারী রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বজুড়ে মুরুব্বিয়ানার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্র অনেকটা যেচেই গ্রহণ করেছে। যেখানে যুদ্ধ চলছে বা যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে, সেখানেও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, যেখানে শান্তি বিরাজ করছে, সেখানেও তারা ঘাঁটি গেড়ে অপেক্ষা করছে তাদের নিজস্ব সামরিক ও ভৌগোলিক কৌশলগত কারণে।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববাসীকে ধারণা দিতে চায়, যেসব দেশে তাদের ঘাঁটি রয়েছে, সেসব দেশের আশপাশে কোথাও শান্তি বিঘ্নিত হলে অথবা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটতে শুরু করলে তারা দ্রুত সামরিক হস্তক্ষেপ করে সংশ্লিষ্ট দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারবে। তাদের ভূমিকাকে বিশ্বের পুলিশি দায়িত্ব পালনের ভূমিকা বলা হলে বাড়িয়ে বলা হবে না। পৃথিবীর প্রতি দুটি দেশের প্রায় একটিতে আমেরিকান সামরিক উপস্থিতি দেখা গেলে তাতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। সংখ্যার দিক থেকেও একেবারে কম নয়।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের সেনানিবাসগুলোতে মোতায়েন রয়েছে, কিন্তু যেসংখ্যক আমেরিকান সৈন্য বিশ্বের কোনায় কোনায় মোতায়েন করা আছে, সে সংখ্যা আমেরিকার মোট সৈন্য সংখ্যার ২৫ শতাংশের কম নয়। সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত বেসামরিক কর্মীসহ সে হার আরও বেশি।

২০২৫ সালের মার্চের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত সৈন্য সংখ্যা প্রায় ২১ লাখ, যার মধ্যে ১৩ লাখ সক্রিয় কর্তব্য পালনে নিয়োজিত এবং রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা ৭ লাখ ৬৫ হাজার। বেসামরিক কর্মচারীসহ সামরিক বাহিনীর মোট জনশক্তি ২৮ লাখ ৬২ হাজার ৮৯ জন। দেশের বাইরে সবচেয়ে অধিকসংখ্যক আমেরিকান সৈন্য মোতায়েন রয়েছে জাপান (৫২,৯৫২), জার্মানি (৩৪,৮৯৪), দক্ষিণ কোরিয়া (২৩,৭৪২), ইতালি (১২,৩১৯), যুক্তরাজ্য (১০,১৮০), কাতার (আনুমানিক ১১ হাজার) ও বাহরাইনে (বেসামরিক কর্মীসহ প্রায় ৯,০০০)।

বিভিন্ন দেশে আমেরিকান ঘাঁটির অস্তিত্ব এবং সৈন্য মোতায়েন অধিকাংশ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র ও আমেরিকার মধ্যে সামরিক মৈত্রীচুক্তির অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে দেশে দেশে যেসব সামরিক ঘাঁটি বিদ্যমান, সেই ঘাঁটিগুলো থেকে তাদের মিত্র দেশগুলোর সমর্থন ও সহায়তায় মানবিক ও শান্তিরক্ষা তৎপরতা পরিচালনা করতে এবং যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় দ্রুত সাড়া দিতে পারে।

চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৮০টি দেশ ও ভূখণ্ডের বিভিন্ন অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল বিমানঘাঁটি থেকে শুরু করে আকাশে ড্রোন উৎক্ষেপণের জন্য নির্দিষ্ট ছোট আকারের কেন্দ্রসহ ৭৫০টির বেশি সামরিক স্থাপনা রয়েছে। কোনো সংকটের উদ্ভব ঘটলে বহু আমেরিকান ঘাঁটি থেকে অতিদ্রুত কৌশলগত, স্থানান্তর ও পরিচালনগত তৎপরতা চালানো যেতে পারে। আমেরিকান সেনাবাহিনীর পরিসংখ্যান অনুসারে দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি দক্ষিণ কোরিয়ার ক্যাম্প হামফ্রেস। এর বাইরে বড় ঘাঁটিগুলোর অবস্থান ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোতে, মধ্যপ্রাচ্যে, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, জার্মানি ও ইতালিতে অবস্থিত। মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে বড় বিমান ঘাঁটি কাতারের ‘আল-উদ্ইেদে’।

এ ঘাঁটিতে আনুমানিক ১১ হাজার আমেরিকান সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। ব্রিটিশ রয়েল এয়ার ফোর্সেরও উপস্থিতি রয়েছে এখানে। ১৯৯৬ সালে নির্মিত ‘আল-উদ্ইেদ’ ঘাঁটি ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের অগ্রবর্তী সদর দপ্তর হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যেখান থেকে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক অভিযান সমন্বয়ের ভূমিকা পালন করে। বহু বছর পর্যন্ত সেখান থেকেই আমেরিকান বাহিনীর হাজার হাজার সৈন্য ইরাক, আফগানিস্তান ও সিরিয়ায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ অভিযানগুলো পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে উনিশটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। আঞ্চলিক রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এ ঘাঁটিগুলোর মধ্যে আটটি স্থায়ী, যেগুলো কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরব, ইরাক, ইসরাইল, জর্ডান, সিরিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত। জিবুতি ও তুরস্কেও যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী সামরিক অবস্থান আছে, যেখান থেকে দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের অভিযান চালাতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে স্নায়ুযুদ্ধের যুগের অবসান ঘটার পর যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর ওপর এককভাবে খবরদারি করার প্রয়োজনে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বিশ্বজুড়ে তাদের কৌশলগত সামরিক অবস্থান নিজেরাই বেছে নিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ভারসাম্য বজায় রাখা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষার গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেছে।

এ নিরাপত্তার চাদর বিছিয়ে দেওয়ার কারণে বিশ্বের কোনো কিছুই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক দৃষ্টির আড়ালে নয়। যেসব দেশে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে তারা সামরিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছে আঞ্চলিক স্বার্থ ছাড়াও নিজেদের স্বার্থে এবং যারা তাদের বিরাগভাজন বা শত্রুভাবাপন্ন, তারা যাতে তাদের প্রতি চোখ তুলে তাকাতে না পারে। এর বৈশ্বিক গুরুত্বও যে নেই, তা নয়।

কাতারের কথাই ধরা যাক। দেশটির অর্থবিত্ত তো আছেই। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী সামরিক অবস্থান কাতারকে আরও প্রভাবশালী ‘পাওয়ার ব্রোকার’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ দিয়েছে। ইরাক কর্তৃক কুয়েত দখল করে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালে ইরাকের বিরুদ্ধে যৌথ সামরিক অভিযান ‘অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম’ পরিচালনার পর কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিতে উপনীত হয়। পরবর্তীকালে এ চুক্তির সম্প্রসারিত রূপ ছিল কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বিমান ঘাঁটি স্থাপন। এর পেছনে অর্থকড়ির জোগান কাতারই দিয়েছে এবং গত দুই দশকে কাতার আমেরিকান বিমান ঘাঁটির জন্য ব্যয় করেছে আট বিলিয়ন ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রের সদম্ভ অবস্থানসহ কাতার একটি নিরপেক্ষ দেশ হিসাবে আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিষ্পত্তি করতে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করে খ্যাতি-অখ্যাতি দুই-ই অর্জন করেছে। নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে কাতারের আল-উদ্ইেদ বিমান ঘাঁটিকেই আফগানিস্তানে ব্যাপক বোমাবর্ষণের গোপন ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করেছিল। কাতার তাদের পররাষ্ট্রনীতিকে ‘কৌশলগত নিরপেক্ষতা’ হিসাবে বর্ণনা করলেও কার্যত তারা ‘পক্ষপাতহীন নিরপেক্ষতা’ বজায় রাখার দাবি করে। সবকিছুর পেছনে কাতারের স্বার্থ হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বিশ্বস্ত বরকন্দাজ হিসাবে রেখে নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং এ যাবৎ দেশটি তা করেছে।

কিন্তু আফগানিস্তানে বোমা হামলার জন্য কাতারের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিয়ে তারা তাদের নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করেছে বলে অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মনে করেন। সম্ভবত এ কারণেই কাতার প্রথম ট্রাম্প প্রশাসন ও আফগানিস্তানের তালেবান প্রতিনিধিদের আলোচনার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তান থেকে সব ঘাঁটি গুটিয়ে নেওয়ার মধ্যস্থতা করে তাদের আগের অপরাধ স্খলনের চেষ্টা করেছে।

আমেরিকান প্রশাসনের প্রতি সমগ্র বিশ্বের সাধারণভাবে বদ্ধমূল ধারণা হলো, দেশটির প্রশাসনে ডেমোক্রেটিক অথবা রিপাবলিকান পার্টি যারাই থাকুক, তাদের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন ঘটে না। মাত্র পাঁচ বছর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের শেষ বছর ২০২০ সালে কাতারে তালেবানদের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেন-২০২১ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে। ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউজে এসে ট্রাম্পের সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেননি। তিনি ২০২১ সালের ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহার সম্পন্ন করেন। এর মধ্য দিয়ে আমেরিকানদের বিশ বছরব্যাপী যুদ্ধের অবসান ঘটে।

আমেরিকান পররাষ্ট্রনীতির একটি লক্ষণীয় দিক হলো, তারা যেসব দেশকে সহযোগিতা করে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় নিপীড়ক শাসকগোষ্ঠী এবং অগণতান্ত্রিক সরকারগুলোকে। যেখানেই তাদের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, সেই দেশগুলো তাদের সীমাহীন আনুকূল্য লাভ করেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইকোনমিস্ট গ্রুপের ২০২৪ সালের ‘ডেমোক্রেসি ইনডেক্স’ অনুসারে বর্তমানে বিশ্বের যেসব দেশে আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ৪১টি দেশের সরকার অগণতান্ত্রিক এবং সম্পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী। স্নায়ুযুদ্ধের যুগে যুক্তরাষ্ট্র অগণতান্ত্রিক দেশগুলোতে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিগুলোকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে এসেছিল, যাতে সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কমিউনিস্ট হুমকির কারণে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সমস্যা না হয়। স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পর এ ধরনের বেশকিছু ঘাঁটি গুটিয়ে ফেলা হয়েছিল।

ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক পশ্চিম জার্মানির কলোনভিত্তিক ‘ম্যাক্স প্ল্যান ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব সোসাইটিজে’র ডাইরেক্টর ইমেরিটাস ফলফগ্যাং স্ট্রিক তার এক বিশ্লেষণে বলেছেন, মুক্তবাজার অর্থনীতি সর্বব্যাপী হয়ে ওঠা এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরও ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর রাশিয়ার হুমকির আশঙ্কা দূর হয়ে যায়নি যুক্তি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় দেশগুলোকে তার নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এ অবস্থা কিছুতেই কাম্য হতে পারে না বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করে ইউরোপের রূপান্তর দাবি করেন। তিনি বলেন, জাপানের ওকিনাওয়ার মতো জার্মানিতেও ৩৫ হাজারের বেশি আমেরিকান সৈন্য এবং অজ্ঞাতসংখ্যক পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন রয়েছে। আমেরিকানদের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কমান্ড সেন্টারও রয়েছে জার্মানিতে। তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করেন, মধ্যপ্রাচ্যে যা কিছু করা হচ্ছে, জার্মানিতে দুটি আমেরিকান কমান্ড সেন্টার থেকে তা করা হচ্ছে এবং দশকের পর দশক ধরে রাজনৈতিক অভিজাতদের শেখানো হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র জার্মানিকে সমর্থন না করলে তারা নিজেরা কিছু করতে পারবে না। এ ধরনের নির্ভরতার মানসিকতা কাটিয়ে ওঠার পূর্বশর্ত হচ্ছে, আন্তর্জাতিক পুলিশি দায়িত্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহতি গ্রহণ করা।

ফলফগ্যাং স্ট্রিকের মতে, যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজেকে বিশ্ব সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণকারী বলে ভাবতে না চায়, তাহলে তাদের উচিত সবার ওপর মোড়লিপনা করার পরিবর্তে আমেরিকান সমাজকে পুনর্গঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মান আরও উন্নত, জনস্বাস্থ্যসেবার আওতা সম্প্রসারণ এবং মাদকের সর্বনাশা আগ্রাসী থাবা থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ‘আমেরিকাকে আবারও মহান’ করে তোলার লক্ষ্যে আমেরিকানদের কল্পনাবিলাস থেকে বাস্তব জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারলেই যুক্তরাষ্ট্র মহান দেশ হিসাবে বিশ্বে অনুকরণীয় এক দৃষ্টান্ত হবে, যা দেশে দেশে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের মাধ্যমে কখনো সম্ভব নয়।

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক ও অনুবাদক

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *