রাজশাহীতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো মাইজভান্ডারি অনুসারীর খানকা

jagonews24.com | rss Feed

রাজশাহীর পবা উপজেলায় আজিজ ভান্ডারী নামের একটি খানকায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় পুরো খানকা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জুমার নামাজের পর স্থানীয় জনতা ও মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালায়। তারা পুরো মাজার গুঁড়িয়ে দেয়।

জানা গেছে, ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডারি দরবার শরীরের পীর গোলামুর রহমানের ভক্ত পবার আজিজুল ইসলাম। তিনি খেলাফত নিয়ে নিজে তার ভক্তদের বায়াত দিয়ে থাকেন। পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে তিনি মাইজভাণ্ডারির নামে খানকা করেছেন। সেই খানকায় এই হামলা হয়।

আজিজুল ইসলাম মাইজভাণ্ডারির জামাতা বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘পবিত্র ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী উপলক্ষে প্রতিবছরে ন্যয় এবারো খানকা শরীফের পক্ষ থেকে তিনদিনের ওয়াজ, তরাবরক বিতরণ ও ওরশ শরীফের আয়োজন করা হয়। প্রথম দিন গত বৃহস্পতিবার ছিল ভক্তদের আগমন, দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ওয়াজ মাহফিল ও তবারক বিতরণ এবং শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) আয়োজন করা হয়েছিল ওরশ শরীফের। আমাদের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে অনেক আগে থেকেই প্রচারণা চলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আহলে হাদিস সংগঠন ও তাদের অনুসারী মসজিদ-মাদরাসা থেকে হামলা চালানো হতে পারে এই খবর আমরা আগেই পেয়েছিলাম। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও অবগত ছিল। কিন্তু শুক্রবার জুমার নামাজের পর হঠাৎ দলে দলে লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে খানকা শরিফে হামলা চালায়। হামলা হবে এটি জানতে পেরে দরবার শরীফের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে পুরো খানকা শরিফে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘দরবার শরীফের নাম করে সেখানে মাদকের হাট বসতো। প্রকাশ্যে গাজাসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করা হতো। এছাড়া প্রতিনিয়ত অনৈসলামিক ও বেদআতের মতো অনেক কাজই সেখানে করা হতো। এজন্য স্থানীয় জনতা এটি ভেঙে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খানকাটি মূলত টিনের ছাউনি দ্বারা আবৃত ছিল। স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়ে টিনের ছাউনি ও বেড়া ভেঙে দিয়েছে, যাতে সেখানে আর কোনোদিন মাদকের হাট না বসে।’

জানতে চাইলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও উপ-কমিশনার গাজিউর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় জনতা ওই খানকা শরীফ ভেঙে দিয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সাখাওয়াত হোসেন/এমএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *