চ্যানেল আই অনলাইন
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আনন্দ পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস রহমতখালী খালে ডুবে ৫ জন যাত্রী নিহত হয়েছে বলে জানান চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে বাসটি রহমতখালী খালে পড়ে যায়। বাস থেকে অন্তত ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় ৫জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন (৫৭) ও মোরশেদ আলম (৪০) এবং নওগাঁ জেলার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির। তিনি চন্দ্রগঞ্জের লতিফপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন এবং একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। নিহত আরো ২ জনের নাম মাজেদ আর রিপন।
ঘটনার দুই ঘন্টা পার হলেও ঘটনাস্থলে ডুবুরি পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় উদ্ধারকারীরা। এছাড়া পানিতে কেউ ডুবে গেছেন কিনা তাও নিশ্চিত বলতে পারেনি ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা। খালের তলদেশে এখনো যাত্রীরা থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন তারা।
এ ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতায় অসন্তোষ প্রকাশ করে স্থানীয় জনগণ দাবি করেছেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দেরিতে আসায় ক্ষতি বেশি হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা লক্ষ্মীপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে রহমতখালী খালে পড়ে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার আড়াই ঘন্টা পার হয়ে গেলেও বাসটি উদ্ধার সম্ভব হয়নি। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ঘটনার পর প্রায় ১ ঘন্টা লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে সড়কের দুইপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে ১ ঘন্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক করে ।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন বলেন, অচেতন অবস্থায় আমরা ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে উদ্ধার করেছি। এরমধ্যে দুইজন মারা গেছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফরিদ উদ্দিন বলেন, চন্দ্রগঞ্জে দুর্ঘটনায় নিহত দুইজনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার ঠিক একমাস আগে গত ৭ অক্টোবর ভোরে ঘটনাস্থলের প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে নোয়াখালীর চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারে ওই খালেই একটি মাইক্রোবাস ডুবে যায়। এতে একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হয়।