‘নিন্দা আর বিবৃতির’ কাগুজে বাঘ – DW – 06.09.2025

Google Alert – বাংলাদেশ

৫ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের গোয়ালন্দ উপজেলায় নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা এবং তার কবর থেকে তুলে তার মরদেহ পুড়িয়ে দেয় একদল মানুষ৷ কয়েকদিন আগে থেকেই এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হলেও এমন ঘটনা ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী৷ ঘটনাস্থলে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সেনাসদস্যরাও৷

শুক্রবারের ওই ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হওয়ার পাশাপাশি একজন নিহতও হয়েছেন৷ এই ঘটনার পরও ‘অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার হুশিয়ারি’ দিয়ে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার৷

এটিই প্রথম ঘটনা নয়৷ এর আগেও দেশব্যাপী শতাধিক মাজারে হামলা, মব ভায়োলেন্স, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা , সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে হামলার হুমকি, এমন নানা ঘটনায় ২০টিরও বেশি ঘটনায় ‘নিন্দা ও প্রতিবাদ’ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার৷

নানা ঘটনায় পূর্ব আলামত থাকা সত্ত্বেও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে সরকারের ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা৷ ঘটনার পর দায়ীদের আইনের আওতায় না আনায় সরকারের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷

পূর্বঘোষিত হুমকি ঠেকাতে কেন ব্যর্থ সরকার?

ফরিদপুরে নুরাল পাগলার দরবারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, এমন আলামত আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছিলো৷ নুরাল পাগলার প্রচারিত মত নিয়ে ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে আগে থেকেই বিতর্ক ছিলো৷  ৮৫ বছর বয়সে গত ২৩ আগস্ট তিনি মারা যান৷ তার ভক্তরা তাকে দাফন করেন মাটি থেকে কয়েক ফুট উঁচুতে৷ দরবারের রং ছিল কাবা শরীফের রংয়ের, সেটা নিয়েও আপত্তি ছিল অনেকের৷

নুরাল পাগলার ছেলে মেহেদী নুর জিলানী ২ আগস্ট সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘‘আসলে এটা নিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে৷ কবরটি তিন-চার ফুট উঁচু করা হয়েছিল৷ তাদের দাবি মেনে পরে সেটা নিচু করা হয়৷ দরবার শরীফের রঙও পাল্টে ফেলা হয়৷”

এর আগে দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় ‘ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’ নামের একটি সংগঠন৷ ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কবর সমতল করাসহ নানা দাবি না মানা হলে ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ আনসার ক্লাব মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ ও পরে ‘মার্চ ফর গোয়ালন্দ’ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেয়৷

পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের’ কথা বলা হলেও এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমন সহিংসতা ঠেকাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি৷

একই দিনে রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে একটি খানকাহ শরীফে হামলা ও ভাঙচুর চালায় দেড় শতাধিক লোক৷ এই ঘটনাও ঘটে শুক্রবার জুমার নামাজের পর৷ সেখানেও পুলিশ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট থানার ওসি উপস্থিত থাকলেও হামলা ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি৷

একই দিনে (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আবারও হামলা ও ভাঙচুরেরর ঘটনা ঘটে৷ এক্ষেত্রেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি৷

মানবাধিকার কর্মী নূর খান বলেন, ‘‘এই সরকার এখন নিন্দা আর প্রতিবাদের সরকারে পরিণত হয়েছে৷ তারা এইভাবে যে কয়দিন ক্ষমতা এনজয় করা যায়, এনজয় করতে চাইছে৷ জনগণকে নিয়ে তাদের ভাবনা নাই৷”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ মনে করেন, ‘‘সরকার এক ধরনের নাটক করছে৷ ঘটনা ঘটতেও দিচ্ছে আবার নিন্দা প্রতিবাদের বিবৃতি দিয়ে দেশের মানুষকে তারা যে চেষ্টা করছে তা বোঝাতে চাইছে৷”

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান মনে করেন, ‘‘আসলে ফরিদপুরের ঘটনা সকল নৃশংসতাকে ছাড়িয়ে গেছে৷ এটা পরিকল্পিত৷ কারা করেছে, কীভাবে করেছে সব জানা৷ তারপরও সরকার ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর বিবৃতি দিয়ে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে৷ আসলে উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে সরকার হাতে রাখতে চায় তাদের প্রয়োজনে, তাই আগাম ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷”

ড. জাহেদ বলেন, ‘‘একই দিনে রাজশাহীতে আরেকটি মাজারে হামলা হয়েছে৷ ঢাকায় জাতীয় পার্টির অফিনে আবারো হামলা হয়েছে৷ কিন্তু সরকার নির্বিকার৷ এর আগেও দরগা ও মাজারে হামলার আরো অনেক ঘটনা ঘটেছে৷ তখনও অন্তর্বর্তী সরকার  নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷ হামলা থামেনি৷”

২৩ জানুয়ারি বিশ্ব সুফি সংস্থা এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, তার আগের ছয় মাসে ৮০টি মাজার ও দরবারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে৷ এর পরের মাসগুলোতে আরো প্রায় সমপরিমাণ হামলার ঘটনা ঘটেছে৷

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি বলছে, জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসেমব সহিংসতা ও গণপিটুনির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ আগস্ট মাসে মব সহিংসতা ও গণপিটুনির অন্তত ৩৮টি ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৫ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৩৯ জন৷

আরেকটি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র- আসক এর হিসাবে জানুয়ারি থেকে জুলাই, এই সাত মাসে সারাদেশে মব সহিংসতার শিকার হয়ে ১০৩ জন নিহত হয়েছেন৷ এর মধ্যে কেবল ঢাকা বিভাগেই নিহত হয়েছেন ৫১ জন৷

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ১০ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ৩৩০ দিনে দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর দুই হাজার ৪৪২টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে৷

‘বিবৃতি বা নিন্দা একটি কৌশলের অংশ’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. তৌহিদুল হক মনে করেন, ‘‘যা ঘটছে, এর মাধ্যমে সরকার একটি বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া করতে চায়৷ সরকার বোঝাতে চায়, রাজনীতি ভালো না৷ তাদের জন্যই এইসব হচ্ছে৷ আর এটা শুধু অন্তর্বর্তী সরকার নয়, সবাইই এইভাবেই ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায়৷”

তৌহিদুল মনে করেন, সরকারের এই বিবৃতি বা নিন্দা একটি কৌশল৷ ডিডাব্লিউকে তিনি বলেন, ‘‘তার (অন্তর্বর্তী সরকারের) দায়িত্ব আসলে ব্যবস্থা নেয়া৷ সেটা সে নেয় না বা নিতে পারে না৷ ফলে বিবৃতি বা নিন্দা জানিয়ে সে যে কিছু একটা করতে চায়, তার প্রমাণ রাখে৷ কিন্তু দেশের মানুষ এটা বোঝে৷”

এই বিশ্লেষক মনে করেন, সরকার যে কোনো ঘটনাতেই ব্যবস্থা নেয় না, এমন না৷ বরং সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনাকে উদাহরণ হিসাবে দেখিয়ে তিনি সরকারের অবস্থানকে ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ (বেছে বেছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কঠোর বা আগাম ব্যবস্থা) বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি৷

তৌহিদুল হক বলেন, ‘‘সরকার আবার কাউকে কাউকে নিরাপত্তা দিচ্ছে৷ যেমন গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের দিয়েছে৷ আবার অনেককেই দিচ্ছে না৷ আসলে সরকার যাকে নিরাপত্তা দিতে চায়, তাকে দেয়৷ যাকে চায় না, তার ব্যাপারে হামলার পর বা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর বিবৃতি দেয়৷ এটা সরকারের দ্বৈত আচরণ৷”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদও এ ব্যাপারে একমত৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, সরকার যেটা চায় সেখানে নিরাপত্তা দেয়া হয়। আর সরকার যেটা চায় না সেখানে নিরাপত্তা দেয়া হয় না৷ এরকম একাধিক উদাহরণ দেয়া যাবে৷”

তিনি মনে করেন ‘বিবৃতি আর নিন্দা’ দুর্বল শাসন ব্যবস্থা, দুর্বল আইনের শাসনের প্রতিফলন৷ তবে আরো কিছু চিন্তার বিষয় আছে৷ ফরিদপুরের ঘটনা তো আগে থেকেই জানা ছিলো৷ তাহলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেয়া হলো না কেন? এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি সরকারে কথা না শোনে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও তো ব্যবস্থা নেয়া হলো না৷ তাই সরকার এটা প্রেশার রিলিজের কৌশল হিসাবেও নিতে পারে৷ যারা হামলা করতে চায়, তারা হামলা করলো৷ আবার সরকার পরে বিবৃতি দিয়ে নিজের একটি অবস্থানও জানালো৷ দুই পক্ষকেই তুষ্ট রাখা৷”

‘উগ্রপন্থিদের হাতে রাখার’ অভিযোগ

ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘‘সরকার আসলে উগ্রপন্থি ইসলামিস্টদের কোনো ঝামেলায় ফেলতে চায় না। সরকারের একটি অংশ অন্তত চাইছে তাদের হাতে রেখে প্রয়োজনে মাঠে নামানো৷ এইজন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না৷ আমরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার আগে দেখেছি এনসিপি মাঠে নামলেও তাদের অনেক লোক ছিলো না। পরে জামায়াত শিবির ও ইসলামি উগ্রপন্থিরা ছিলো৷ এখন বাংলাদেশে নির্বাচন যদি অনিশ্চিত হয়ে যায় তাহলে বিএনপি মাঠে নামবে। তখন তাদের বিরুদ্ধে শক্তি দেখাতে এই উগ্রপন্থিদের মাঠে নামাবে। স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশে উগ্রপন্থার উত্থান হচ্ছে৷”

তিনি বলেন, ‘‘সরকারের এই বিবৃতি নিন্দা নিয়ে তো এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাসাহাসি হচ্ছে৷ এটাকে কেউ এনজিওগ্রাম সরকার বলে৷ কারণ এরা এনজিওর মতো বিবৃতি দেয়৷  সরকার আসলে যা করতে চায় তাই করছে৷ বিবৃতি দিয়ে তারা আসলে লোক দেখানো কাজ করছে৷ তা না হলে ফরিদপুরের ঘটনা তো সরকার প্রশাসন সবার জানা ছিলো৷ তারপরও হামলা হলো৷ আর সরকার একটি বিবৃতি দিলো৷ কারণ ওই উগ্রপন্থিদের সরকার হাতে রাখতে চায়৷”

সরকারের অবস্থানের ফলে উগ্রবাদ প্রশ্রয় পাচ্ছে বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মী নূর খান৷ গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুমের ঘটনা তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকার যে কমিশন গঠন করেছিল, সে কমিশনের অন্যতম সদস্য নূর খান৷

ডাডাব্লিউকে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের কোনো কালচার, ধর্ম কোনোভাবেই কবর থেকে লাশ উঠিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটাতে পারে না৷ কিন্তু দু:খজনক হলেও বাংলাদেশে এটা ঘটেছে৷ এই উগ্রবাদের উত্থান এই দেশে ঘটছে৷ অনেক সময় ধরে লাশ তুলে পোড়ানো হলো৷ শুধু তাই নয়, একটি ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী অব্যাহতভাবে মাজারে, দরবারের হামলা চালাচ্ছে৷ তারা বিভিন্ন মাজারের খাদেমদের ধরে ধরে নিয়ে তওবা পাড়াচ্ছে৷ আর সরকার শুধু বিবৃতি দিয়ে আসলে তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে৷”

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স মনে করেন, সরকার না চাইলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না৷

তিনি বলেন, ‘‘সরকার চায় বলেই এসব হয়৷ এই সরকার একটি বিবৃতিজীবী সরকারে পরিণত হয়েছে৷ দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ এই সরকার বিবৃতির মাধ্যমে তার ব্যর্থতা আড়াল করতে চাইছে৷”

রুহিন হোসেনের মতে, ‘‘এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর বৈধতা নাই৷ সরকারের উচিত নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে দ্রুত চলে যাওয়া৷”

এই বিষয়ে সিপিবি নেতার সঙ্গে একমত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সও৷ তিনি বলেন, ‘‘এইসব বিবৃতি আর নিন্দায় আসলে কোনো কাজ হয়না। দায়িত্ব নিতে হয়। তাই সরকারের দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা উচিত৷”

তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচিত সরকারের একটা কমিটমেন্ট থাকে, একটা দায়বদ্ধতা থাকে৷ এই সরকারের সেটা নাই৷ ফলে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে৷ ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি হচ্ছে৷ দক্ষিণপন্থিদের উত্থান হচ্ছে৷ সরকার কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু বিবৃতি দিচ্ছে৷”

এসব সমালোচনা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বক্তব্য জানতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের একাধিক সদস্যের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছেন ডিডাব্লিউ এর প্রতিবেদক। তবে প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত তাতে সাড়া মেলেনি।

 

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *