Google Alert – প্রধান উপদেষ্টা
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ব্যবস্থা দেখে ‘অবাক’ হয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শনিবার সকালে টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
ফরিদা আখতার স্পিডবোটে হাওরের ওয়াচ টাওয়ার এলাকা, হিজল-করচ গাছের বাগান এবং হাওর তীরবর্তী গ্রামগুলো ঘুরে দেখেন।
এ সময় হাওরের পরিবেশগত অবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি যেটা দেখে অবাক হলাম, একটা অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। আমরা দেখেছি, চিপস খাচ্ছে আর চিপসের প্যাকেটগুলো পানিতে মিশে যাচ্ছে। এজন্য মাইক্রো প্লাস্টিকের দূষণ তৈরি হচ্ছে।
“আর যে বড় বড় জাহাজ নিয়ে আসছে, এগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। সবাই আসুক, আনন্দ করুক। কিন্তু মাছের প্রতি, প্রাণ-বৈচিত্র্য ক্ষতি করে এটা কাম্য নয়। এই হাওরের প্রাণ-বৈচিত্র্য রক্ষা করা দরকার। হাওর খনন ও নিয়ন্ত্রিত পর্যটন ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।”
টাঙ্গুয়ার হাওর শুধু পরিবেশগত নয়, মাছ উৎপাদনের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, “পর্যটনের ক্ষেত্রে বিশেষ করে জোন যেটা, সেটা বন্ধ রাখতে হবে। এজন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের কথা ভাবা হচ্ছে। যদি আরও বেশি অভয়াশ্রম গড়ে তোলা যায় এবং পরিবেশ রক্ষা কার্যক্রম বাড়ানো যায়; তবে হাওরে মাছের উৎপাদনও বাড়বে। জেলেদের বিকল্প জীবিকা ও সচেতনতা নিশ্চিত করতে হবে।”
অবৈধ চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “হাওরে অবৈধ জালের ব্যবহার আছে। শুধু ব্যবহারকারীকেই নয়, উৎপাদনকারীকেও ধরতে হবে। আমরা এই অবৈধ জাল যেখানে উৎপাদন হয় সেখানে অভিযান চালাব। চায়না দুয়ারি আমদানি বন্ধ এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হওয়া ফ্যাক্টরিও বন্ধ করতে হবে।”
এ সময় মৎস্য অধিশাখার যুগ্ম সচিব শাহীনা ফেরদৌসী, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল উপস্থিত ছিলেন।