ভারতে নারীর মৃত্যু, ‘শেষ ইচ্ছায়’ সীমান্তে মরদেহ দেখার সুযোগ পেলেন বাংলাদেশি স্বজনেরা

Independent Television

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হৃদয়পুর গ্রামে অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান স্ত্রী পচি খাতুন (৭৫)। মারা যাওয়ার আগে তাঁর শেষ ইচ্ছে ছিল, বাংলাদেশে থাকা নানাবাড়ির স্বজনেরা একনজর যেন তাঁর মরদেহ দেখতে পান। অবশেষে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উদ্যোগে পচি খাতুনের ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। 

শনিবার সকালে মারা যান মৃত জামাত শেখের স্ত্রী পচি খাতুন। পরে তাঁর এই ইচ্ছের কথা বিএসএফকে জানায় পরিবারের সদস্যরা। এরপর বিএসএফ থেকে যোগাযোগ করা হয় বিজিবির সঙ্গে। দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শনিবারই সীমান্তের ১০৫ নম্বর মেইন পিলারের কাছে আনা হয় পচি খাতুনের মরদেহ। এদিক থেকে বাংলাদেশি স্বজনেরা এসে একনজর পচি খাতুনের মরদেহ দেখে শেষ বিদায় জানান। তখন সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে মরদেহটি ফের ভারতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের (৬ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান বলেন, এটি একটি মানবিক বিষয়। ভারতে থাকা একজন মানুষ মারা গেছেন, তার শেষ ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশে থাকা স্বজনেরা যেন তাঁকে শেষ দেখা দেখতে পায়। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহায়তায় এটি করা হয়েছে।

বিজিবি শুধু সীমান্তরক্ষাই করে না, মানবিক যে বিষয়গুলো আছে সেগুলো নিয়েও কাজ করে বলেও জানান নাজমুল হাসান।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *