চ্যানেল আই অনলাইন
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবার শরীফে হামলা, ভাঙচুর এবং কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। সেই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার ৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে, শুক্রবার ৫ সেপ্টেম্বর পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দিবাগত রাত ১২টার পর গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই সেলিম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—গোয়ালন্দ উপজেলার দেওয়ানপাড়া গ্রামের আফজাল সরদারের ছেলে মো. শাফিন সরদার (১৯), বালিয়াডাঙ্গী গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে হিরু মৃধা (৪০), দক্ষিণ উজানচর গ্রামের আক্কাস মৃধার ছেলে মাসুদ মৃধা, দেওয়ানপাড়া গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক জনি (৩২), কাজীপাড়া গ্রামের আরিফ কাজীর ছেলে অপু কাজী (২৫)।
ওসি মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ সমাবেশ করে তৌহিদী জনতা। বিক্ষোভ থেকে হামলা চালানো হয় নুরাল পাগলার দরবার শরিফে। পাল্টা আক্রমণ করেন ভক্তরা। সংঘর্ষে একজন নিহত ও অর্ধশত মানুষ আহত হন। পরে নুরাল পাগলার দরবার শরিফে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয় তৌহিদী জনতা। কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হামলা চালানো হয় পুলিশের ওপর, ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। সেই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।