Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম
পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মানাসলু জয় করেছেন বাংলাদেশি পর্বতারোহী তৌফিক আহমেদ তমাল।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টায় মানাসলুর চূড়ায় বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন তিনি।
অভিযানের আয়োজক এল্টিটিউড হান্টার বিডির ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ, বহু প্রতিক্ষার অবসান!!
লাখো শুভাকাঙ্ক্ষীর দোয়ার বরকতে বঙ্গ সন্তান তমাল বিশ্বের অষ্টম চূড়া (৮১৬৩ মিটার) মানাসলুতে আরোহন করে লাল সবুজের পতাকা উড়াতে সক্ষম হয়েছে।
তমালের এজেন্সি সেভেন সামিট ট্রেকার্সের বেইজক্যাম্প ম্যানেজার দর্জি ভোট শেরপা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে তমালের পর্বতের যুদ্ধ কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এখন সুস্থভাবে নিচে নেমে আসাটাই প্রধান লক্ষ্য, জানেনই তো চূড়ায় উঠার চেয়ে নেমে আসাটা অধিক ঝুকিপূর্ণ।
আরও পড়ুন
মাউন্ট মানাসলু অভিযানে যাচ্ছেন বাবর আলী ও তানভীর
নেপালের ৯৭ পর্বত আরোহণে অর্থ লাগবে না
সজল স্মরণে আজিজের অভিযান, বেজ ক্যাম্প থেকে শান্তির বার্তা
তমাল নেটওয়ার্ক বিছিন্ন হওয়ায়, চূড়ার ছবি ভিডিও ও সামিটের সময় আপাতত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তমাল নেটওয়ার্কে ফিরলেই পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত সবকিছু শেয়ার করা হবে।
আপাতত তমালের নিরাপদ অবতরণের জন্য আমাদের দোয়া চলমান থাকুক, এরপর না হয় সবাই একসাথেই আনন্দ উল্লাস করলাম।’
গত ১ সেপ্টেম্বর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে যাত্রা শুরু করে কঠিন আবহাওয়া, তীব্র শীত আর বিপদসংকুল পথ পাড়ি দিয়ে ভয়াবহ বিপজ্জনক ‘মানাসলু’র চূড়া জয় করতে সক্ষম হন তমাল। অভিযান পরিচালনা করে নেপালের খ্যাতনামা পর্বতারোহণ সংস্থা ‘সেভেন সামিটস ট্রেকার্স’।
নেপালে যাওয়ার আগে ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তৌফিক আহমেদ তমালের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন বাংলাদেশের প্রথম নারী এভারেস্ট জয়ী নিশাত মজুমদার। এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য তরুণ প্রজন্মকে পর্বতারোহণের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার কথা জানানো।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশি হিসেবে যারা জয় করেছেন মাউন্ট এভারেস্ট
বিশ্বরেকর্ড গড়ে শাকিলের এভারেস্ট জয়
এভারেস্টের চূড়ায় দাঁড়িয়ে কেঁদেছি কৃতজ্ঞতায়, আনন্দে, দায়িত্ববোধে
তৌফিক আহমেদ তমাল ১৪ বছর ধরে দেশবিদেশে নিয়মিত ট্রেকিং ও উচ্চ পর্বতারোহণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভারতের নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে তিনি মৌলিক ও উচ্চতর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। এর আগে, তিনি ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার মিটারের সাতটি পর্বত এবং ৬৫০০ মিটার উঁচু দুটি পর্বত জয় করেন। তার উল্লেখযোগ্য অভিযানের মধ্যে রয়েছে, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শীতকালীন অভিযানে থার্পু চুল্লি জয়, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ভাগীরথী-২ (৬৫১২ মিটার) জয়। এছাড়াও গত বছর বিশ্বের অন্যতম কঠিন শৃঙ্গ মাউন্ট আমা দাবলাম (৬৮১৪ মিটার) জয় করেন তমাল।
তৌফিক আহমেদের বেড়ে ওঠা কুমিল্লায়। কলেজে পড়ার সময় পাহাড়ের প্রতি টান অনুভব করলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকেই আরেক ঠিকানা বানান তিনি। ২০১৭ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শেষে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়েছিলেন। কিন্তু পাহাড়ের ডাকে চাকরি ছেড়েছেন। পেশা হিসেবে ভ্রমণ আয়োজন ও পরিচালনাকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন। নেপালের এভারেস্ট বেজক্যাম্প, অন্নপূর্ণা বেজক্যাম্পসহ বিভিন্ন গন্তব্যে গাইড হিসেবে বাংলাদেশিদের নিয়ে যান তিনি। এছাড়া, দেশে ক্লাইম্বিং প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করছেন তৌফিক।
এমএমএআর/এএসএম
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।