Google Alert – সেনাবাহিনী
দশকের পর দশক ধরে আকাশে আধিপত্য দেখানো যুক্তরাষ্ট্র এবার চীনের সামরিক নতুন প্রযুক্তি দেখে চমকে উঠেছে। সম্প্রতি বেইজিং তাদের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলোকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ‘ফুজিয়ান’-এর সঙ্গে আকাশে তুলে নতুন যুগের সূচনা করেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক এয়ারক্রাফট লঞ্চ সিস্টেম (ইএমএএলএস) ব্যবহার করে আকাশে উঠছে পঞ্চম প্রজন্মের জে-৩৫ স্টিলথ ফাইটার, ৪.৫-প্রজন্মের জে-১৫ ফাইটার, এবং কেজে-৬০০ আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল এয়ারক্রাফট। এই প্রযুক্তি এতদিন শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিয়ারে দেখা যেত।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ফুজিয়ানের এই সাফল্য কেবল প্রযুক্তিগত নয়, কৌশলগত দিক থেকেও বিশাল অগ্রগতি। আগে চীনের পুরনো রণতরী শ্যানডং এবং লিয়াওনিং-এর মধ্যে এই সুবিধা ছিল না। ইএমএএলএস প্রযুক্তির ফলে ফুজিয়ান এখন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ভারী অস্ত্র ও জ্বালানি বহন করে শত্রুপক্ষের ঘাঁটিতে আরও দূরে আঘাত হানা সম্ভব।
তবে সীমাবদ্ধতাও আছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউক্লিয়ার চালিত ক্যারিয়ার দীর্ঘ সময় সমুদ্রে থাকতে পারে, কিন্তু ফুজিয়ান এখনও প্রচলিত জ্বালানিতে চলছে। তাই নির্দিষ্ট সময় পর পর জ্বালানি সংগ্রহের জন্য বন্দরে ফিরে আসতে হবে বা সমুদ্রে ট্যাঙ্কার থেকে জ্বালানি নিতে হবে।
এই প্রযুক্তিগত প্রদর্শনের মধ্যেই বেইজিং সফরে আসেন মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। দলটির নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেসম্যান অ্যাডাম স্মিথ সতর্ক করে বলেন, চীন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল সামরিক ও পারমাণবিক শক্তি, আর যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনী ও পারমাণবিক ভান্ডার। নিয়মিত আলোচনার অভাব বিপজ্জনক ভুল বোঝাবুঝির জন্ম দিতে পারে।
দক্ষিণ চীন সাগর থেকে তাইওয়ান প্রণালি—চীন তাদের সামরিক সক্ষমতার মাধ্যমে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। এই প্রযুক্তি বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে নতুন ক্ষমতার খেলার ইঙ্গিত দিচ্ছে।