Google Alert – সেনাবাহিনী
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এ বৈঠকের ডাক দিয়েছেন বলে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। যদিও বৈঠকের উদ্দেশ্য বা আলোচ্যসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল নিশ্চিত করেছেন বৈঠকের খবর। তবে তিনি শুধু জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের শুরুতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় ৮০০ জেনারেল ও অ্যাডমিরাল দায়িত্বে আছেন। তাদের মধ্যে অনেকে বিদেশি ঘাঁটিতে সংবেদনশীল দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারণত এ ধরনের বৈঠক আগে থেকে পরিকল্পনা করা হয়, কিন্তু এত বড় পরিসরে হঠাৎ ডাকা বৈঠক বিরল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘হঠাৎ সময়সূচি পাল্টে সবাই এখন প্রস্তুত হওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকেই ভাবছেন, এ বৈঠকে যোগ দেওয়া কতটা বাধ্যতামূলক।’
এদিকে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এটা দারুণ মনে করছি। জেনারেল আর অ্যাডমিরালদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকা সবসময়ই ইতিবাচক।’
ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও একই সুরে মন্তব্য করে জানিয়েছেন, সাংবাদিকদের কৌতূহলই বরং অস্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প ও হেগসেথ মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে কয়েকজন শীর্ষ জেনারেলকে সরানো হয়েছে, চার-তারকা জেনারেলের সংখ্যা কমানো হয়েছে, এমনকি প্রতিরক্ষা দপ্তরের নাম পরিবর্তন করে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে হঠাৎ এই বৈঠককে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে-বাইরে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এর ভেতরে লুকিয়ে থাকতে পারে বড় ধরনের নীতি পরিবর্তনের ইঙ্গিত।
এএডি/