Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম
পর্যটন শিল্পে কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজমের সম্ভাবনা
ফাইল ছবি
টেকসই রূপান্তর এমন এক পরিবর্তন যা পরিবেশ ও সমাজের ওপর তাদের প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে ব্যবসা এবং অর্থনীতি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াকে বোঝায়। যা দীর্ঘমেয়াদে সামাজিক ন্যায়বিচার, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে একসঙ্গে এগিয়ে নেয়। পর্যটন যদি কেবল ব্যবসা হিসেবে পরিচালিত হয়, তা হলে তা পরিবেশ ধ্বংস, সংস্কৃতি বিনাশ এবং স্থানীয় জনগণের শোষণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কিন্তু পর্যটন যদি টেকসই দৃষ্টিকোণ থেকে পরিচালিত হয়, তবে পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি স্থানীয় সংস্কৃতির সংরক্ষণে ভূমিকা রাখে, স্থানীয় জনগণের আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। যেখানে সমাজের সবাই তার নিজ নিজ জায়গা থেকে উন্নয়নের ন্যায্য সুযোগ পাওয়ার মাধ্যমে স্থানীয় ও সামগ্রিক পর্যায়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সর্বোপরি অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। সমন্বিত এই উন্নয়ন একটি সমাজকে টেকসই রূপান্তরের দিকে ধাবিত করে।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পাশাপাশি পাশ্চাত্য ও মধ্যপ্রাচ্যে সাংস্কৃতিক চর্চার ঔদ্ধত্বের ফলে নিজ সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনা ও সমাজকে সুন্দর সুশৃঙ্খলিত রাখতে নগর থেকে গ্রামীণ পর্যন্ত পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন একান্ত প্রয়োজন।
টেকসই রূপান্তরের জন্য পর্যটন একটি নিয়ামত হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে। এই রূপান্তর অর্জন ত্বরান্বিত করতে সমবায়ভিত্তিক পর্যটন, গ্রামীণ পর্যটন, কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজম, জেলাভিত্তিক পর্যটন, সাংস্কৃতিক পর্যটন ও হাওড় পর্যটন উন্নয়নের মধ্য দিয়ে একতা-সাম্য ও সহযোগিতার প্রত্যয় বৃদ্ধি করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে পর্যটনশিল্প বাংলাদেশে জাতীয় উন্নয়নে বড় অবদান রাখতে পারে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে উল্লিখিত পর্যটন প্রসার প্রয়োজন। কমিউনিটি বেইজড পর্যটনের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের মধ্যে মমত্ববোধ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, সহযোগিতা, একতা, সাম্য বৃদ্ধি পাবে, যা বর্তমানে চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সহযোগিতা করবে এবং বাস্তবায়িত হবে টেকসই রূপান্তরের লক্ষ্যমাত্রা। এভাবেই নবদিগন্তে ভোরের সূর্যের প্রজ্বলিত শিখার মতো আলোকিত হবে অমিত সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প।
পর্যটন এখন শুধু কোনো ব্যক্তি বা ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর দেশভ্রমণ নয় বরং সমগ্র মানবগোষ্ঠীর জন্য একটি বিশ্বজনীন নিজেকে, সমাজকে ও বিশ্বকে রূপান্তরের মাধ্যম। আর তাই পর্যটন এখন একটি শিল্প, যা অনেক দেশের অর্থনীতির অন্যতম মুখ্য উপাদান। ‘বাংলাদেশের নদী মাঠ বেথুই বনের ধারে, পাঠিও বিধি আমায় বারে বারে’ এই দেশ তাই প্রাচীন কাল থেকে ভ্রমণের জন্য তীর্থভূমি হিসেবে পরিচিত।
বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্প আজ বৈশ্বিক অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা অনুসারে, পর্যটন খাত বিশ্বজুড়ে কর্মসংস্থানের প্রায় ১০ শতাংশ সৃষ্টি করে। তবে শুধু অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, পর্যটন এখন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত পরিবর্তনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবেও বিবেচিত। ১৯৮০ সাল থেকে সমগ্র বিশ্বজুড়ে ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন করা হয়। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এ দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটির প্রধান উদ্দেশ্য পর্যটন নিয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো, পর্যটনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উপযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া। তাই ২০২৫ সালের বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই রূপান্তরের জন্য পর্যটন’ যথাযথ ও সময়োপযোগী।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই রূপান্তর আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি এবং বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা আমাদের পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করেছে। কিন্তু এই সমৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে পর্যটন হতে হবে টেকসই, যেখানে স্থানীয় জনগোষ্ঠী শুধু দর্শনীয় স্থানের অংশীদার নয়, বরং উন্নয়ন ও লাভের সরাসরি অংশীদার। এখানেই কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজম হয়ে উঠতে পারে একটি কার্যকর সমাধান।
কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজম হলো এমন এক পর্যটন পদ্ধতি, যেখানে স্থানীয় জনগোষ্ঠী পর্যটনের পরিকল্পনা, পরিচালনা ও লাভের ভাগীদার হয়। পর্যটকরা এখানে শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন না, বরং স্থানীয়দের জীবনধারা, সংস্কৃতি, খাবার, হস্তশিল্প ও গল্পের সঙ্গে সরাসরি পরিচিত হওয়ার সুযোগ পান।
যেমন অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন : পর্যটনের আয় সরাসরি স্থানীয়দের কাছে পৌঁছে যায়। সংস্কৃতি সংরক্ষণ : লোকসংগীত, লোককথা, ঐতিহ্যবাহী রান্না ও হস্তশিল্প বেঁচে থাকে। পরিবেশ সংরক্ষণ : স্থানীয়রা তাদের পরিবেশ রক্ষায় আরও সচেতন হয়ে ওঠে, কারণ সেটিই তাদের মূল আকর্ষণ। সামাজিক উন্নয়ন : শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামো উন্নয়নে পর্যটনের আয় ব্যবহার করা যায়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজম অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। নেপাল : হিমালয় অঞ্চলে স্থানীয় গ্রামগুলো ট্রেকিং রুটে পর্যটকদের আতিথ্য দেয়। থাইল্যান্ড : উত্তরাঞ্চলের পাহাড়ি জনগোষ্ঠী নিজেদের সংস্কৃতি তুলে ধরে আয় করছে। ভুটান : এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ ঐধঢ়ঢ়রহবংং নীতির সঙ্গে কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজম যুক্ত হয়ে দেশটিকে করেছে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের মডেল।
বাংলাদেশেও কিছু ছোট ছোট উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে-বান্দরবানের রুমা-বগা লেক, সিলেটের লালাখাল, শ্রীমঙ্গল কিংবা সুন্দরবনের কয়েকটি গ্রামে স্থানীয়রা পর্যটকদের ঘরোয়া অভিজ্ঞতা দিচ্ছে। তবে এগুলোকে আরও সংগঠিত ও রাষ্ট্রীয় সহায়তায় বিস্তৃত করতে হবে। বাংলাদেশে কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজমের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে রয়েছে অনন্য বৈশিষ্ট্য।
সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকা : এখানে বনজীবী, জেলেপাড়া এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে যুক্ত করে নৌ-ভ্রমণ, বন সংরক্ষণ ক্যাম্পেইন এবং মধু সংগ্রহ প্রক্রিয়া দেখানো কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজমের অংশ হতে পারে।
সিলেট ও চা বাগান এলাকা : চা শ্রমিকদের জীবনযাত্রা, উপজাতীয় সংস্কৃতি ও পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম : চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর
সংস্কৃতি ও পাহাড়ি সৌন্দর্যকে ঘিরে কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজম উদ্যোগ সফল হতে পারে।
কুড়িগ্রাম ও গ্রামীণ অঞ্চল : নদীকেন্দ্রিক জীবন, নৌকাবাইচ, মৃৎশিল্প, গ্রামীণ মেলা পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ হতে পারে।
বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজমের সব উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ সুন্দরবনে গড়ে ওঠা গোলকানন, ইরাবতী ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার এবং পিয়ালী ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার স্থানীয় সমাজের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটন গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই রিসোর্ট দুটির পাশাপাশি তৈরি হয়েছে আরও বেশ কিছু রিসোর্ট জঙ্গলবাড়ী, বনবিবি, সুন্দরী, ম্যানগ্রোভ ও মায়াবন। তারা শুধু পর্যটকদের জন্য আরামদায়ক আবাসন নয়, বরং স্থানীয়দের জীবনযাত্রার সঙ্গে সরাসরি পরিচিত হওয়ার এক বিশেষ সুযোগ। স্থানীয় জেলে পরিবার, মধু সংগ্রাহক,
কৃষক ও কারিগররা এখানে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ফলে তাদের আয় বেড়েছে, প্রথাগত পেশা নতুন মর্যাদা পেয়েছে, স্থানীয় সংস্কৃতি ও প্রকৃতি রক্ষার প্রতি সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় আরও অনেক উদ্যোগ গড়ে উঠছে। অনেকেই এখন স্থানীয়দের নিয়ে হোমস্টে, গ্রামীণ অভিজ্ঞতা, নৌ-ভ্রমণ ও পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম চালু করছেন। বলা যায়, ইরাবতী ও পিয়ালী রিসোর্ট শুধু পর্যটনের ধারা বদলাতেই সাহায্য করেনি, বরং টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক রূপান্তরের এক অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজমের কেবল অর্থনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে কিছু প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই সক্রিয়ভাবে কাজ করছে নোনাভূমি কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন শিক্ষা ও স্থানীয় সংস্কৃতিকে বিকাশ করছে। তারা পাঠশালা, অবৈতনিক স্কুল, লোকসংগীত, নাটক, নৃত্য ও হস্তশিল্পকে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত করছে। এর ফলে পর্যটকরা শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য নয়, এলাকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গেও পরিচিত হচ্ছে।
ট্যুরিস্ট ক্লাব বাংলাদেশ তরুণ প্রজন্মকে পর্যটন ও সংস্কৃতি রক্ষায় সম্পৃক্ত করছে। তারা ভ্রমণ, সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান, ঋতুভিত্তিক উৎসব, স্থানীয় সংস্কৃতিচর্চা, ওয়ার্কশপ ও সাংস্কৃতিক ইভেন্ট আয়োজন করে পর্যটনকে টেকসই সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এভাবে অর্থ, পরিবেশ ও সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটিয়ে বাংলাদেশে কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজম ধীরে ধীরে টেকসই রূপান্তরের এক শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজম গড়ে তুলতে বাংলাদেশের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে অবকাঠামোর ঘাটতি (সড়ক, থাকার ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা), স্থানীয়দের দক্ষতার অভাব (গাইড, আতিথ্য ও হস্তশিল্প প্রশিক্ষণ), সচেতনতার অভাব (পরিবেশ রক্ষা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা), নীতিগত সমন্বয়ের ঘাটতি।
সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে নীতিগত সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। জাতীয় পর্যটন নীতিতে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে স্থানীয়দের গাইড, রন্ধনশিল্পী ও হস্তশিল্পী হিসেবে দক্ষ করে তোলা জরুরি। সরকারিভাবে অবকাঠামো উন্নয়ন যেমন পরিবেশবান্ধব কটেজ, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাজারজাতকরণ : অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, সোশ্যাল মিডিয়া ও সরকারি প্রচারে কমিনিউটি বেজড ট্যুরিজম প্রচার করা। স্থানীয় নেতৃত্ব বিকাশ ঘটানোর মাধ্যমে গ্রাম বা সম্প্রদায়ভিত্তিক কমিটি গঠন করা, যারা পর্যটন আয় ন্যায্যভাবে বণ্টন করবে।
পর্যটন শুধু আনন্দ বা ভ্রমণ নয়, এটি এক শক্তিশালী পরিবর্তনের হাতিয়ার। টেকসই রূপান্তরের জন্য পর্যটন তখনই সম্ভব, যখন পর্যটনের মূল সুবিধাভোগী হবে স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং পরিবেশ ও সংস্কৃতি থাকবে সুরক্ষিত।
সুন্দরবনের ইরাবতী ও পিয়ালী রিসোর্ট, নোনাভূমি কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং ট্যুরিস্ট ক্লাব বাংলাদেশের উদাহরণ দেখিয়েছে যে, কমিউনিটি বেজড ট্যুরিজম শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নয়, সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ ও টেকসই উন্নয়নের এক অনন্য হাতিয়ার।
যদি আমরা এই মডেলকে আরও বিস্তৃতভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রয়োগ করি, তবে বাংলাদেশে পর্যটন কেবল বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং মানবিক রূপান্তরের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।