দুর্গোৎসবের আমেজ নেই ময়মনসিংহের দুই স্থলবন্দরে

jagonews24.com | rss Feed

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম টানা সাত দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে কোনোটি আটদিনও বন্ধ থাকবে। তবে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করতে হয়নি। কারণ চলতি বছরের ৮ মে থেকে এই স্থলবন্দর দুটির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দরে কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা। কর্মকর্তাদের নেই ব্যস্ততা। সারাবছর দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরে শ্রমিক-ব্যবসায়ী, কর্মকর্তারা ব্যস্ত থাকলেও ময়মনসিংহে এর বিপরীত চিত্র বিরাজ করছে। অন্য বন্দরের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা টাকা আয় করে ফুরফুরে মেজাজে দুর্গাপূজার ছুটি উপভোগ করলেও ময়মনসিংহের স্থলবন্দর কেন্দ্রিক শ্রমিকদের মন বিষণ্ন। কারণ তাদের পকেট ফাঁকা। টানা চার মাসের বেশি সময় ধরে বন্দরে কাজ না থাকায় পরিবারের সদস্যদের তিনবেলা আহার জোগাতেও পারছেন না অনেক শ্রমিক।

কড়ইতলী স্থলবন্দরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন নেপাল ধর। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বন্দরকেন্দ্রিক শ্রমিকদের মন বিষণ্ন। কারণ গুটিকয়েক শ্রমিক বিভিন্ন কাজ করে কোনোরকমে পরিবারের ভরণপোষণ করতে পারলেও বেশিরভাগ শ্রমিক বেকার রয়েছে। আমরা চাই, সারাবছর বন্দর সচল থাকুক এবং দেশের অন্যান্য বন্দর যখন বন্ধ থাকে তখন আমাদের বন্দরও বন্ধ থাকুক।

আরও পড়ুন-

আজ থেকে আট দিন বন্ধ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি
আখাউড়া দিয়ে ভারতে গেলো ১২০০ কেজি ইলিশ
দুর্গাপূজায় হিলি স্থলবন্দরে ৮ দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি

কড়ইতলী-গোবরাকুড়া আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের (ব্যবসায়ী সংগঠন) সাধারণ সম্পাদক অশোক সরকার অপু বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বিভিন্ন স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম টানা সাত থেকে আট দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ আমাদের দুইটি বন্দর কয়েকমাস যাবৎ বন্ধ। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন সারাবছর ব্যবসা করতে পারছেন না, তেমনি শ্রমিকরাও বেকার জীবন পার করছেন।

ব্যবসায়ী সংগঠনের এই নেতা বলেন, আমরা চাই সারাবছর ব্যবসা করি, বন্দর চালু থাকুক। কিন্তু কয়লা ৬ মাসের বেশি বিক্রি হয় না। নিজেরা লাভবান হতে এবং বন্দেরের কার্যক্রম চালু রাখতে পাথর আমদানির ওপর জোর দিচ্ছি। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু ব্যবসায়ী রাজি হলেও অনেকে রাজি হচ্ছে না। কারণ পাথরের পর্যাপ্ত ক্রেতা পাওয়া যাবে কি না এ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। তবে আশা করছি, সব ব্যবসায়ীদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে অচিরেই পাথর আমদানি শুরু করা যাবে। পাথর আর কয়লা আমদানির মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রম সারাবছর চালু থাকবে বলে প্রত্যাশা করছি।

এ বিষয়ে হালুয়াঘাটের কড়ইতলী-গোবরাকুড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ বলেন, চলতি বছরের ৮ মে এই দুই স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৮৪ ট্রাক কয়লা আমদানির পর থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ। কয়লা আমদানি না হওয়ায় স্থলবন্দরে চলছে সুনসান নীরবতা। তাই দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরগুলোতে দুর্গাপূজায় উৎসব আমেজ বিরাজ করলেও এখানে চিত্র ভিন্ন।

তিনি বলেন, আমরাও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা চাচ্ছি সারাবছর কয়লা ও পথর আমদানির মাধ্যমে বন্দরে কার্যক্রম চাঙা থাকুক। এতে সরকারও মোটা অঙ্কের রাজস্ব পাবে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *