ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকায় পর্যটন খাতে মন্দাভাব

Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল

প্রাকৃতিক বহু রূপের সমাহার খ্যাত পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। তিন পার্বত্য (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) জেলার মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময়ী রাঙামাটি অঞ্চল দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট হিসেবে আলাদা সুখ্যাতি রয়েছে।


তবে কয়েকমাস ধরে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে থাকায় এ জেলার পর্যটন ব্যবসায় চরমভাবে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। ট্যুরিস্ট বোটগুলোতে ট্যুরিস্ট নেই, স্থানীয় টেক্সটাইল ব্যবসায় নেমেছে ধস, হোটেল-মোটেলগুলোতে আশানুরূপ পর্যটক নেই বললে চলে।


জানা গেছে, রাঙামাটিতে প্রতি বছর প্রায় পাঁচ লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটে। আগত এ সব পর্যটকদের কাছ থেকে ঝুলন্ত সেতুতে জনপ্রতি প্রবেশ ফি-২০ টাকা করে নেওয়া হয়। বছরে ঝুলন্ত সেতু দেখতে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে বছরে পর্যটন করপোরেশন আয় করে কোটি টাকা। তবে গত দু’মাস ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে থাকায় প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে পর্যটন করপোরেশন। ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকার কারণে তাদের কটেজগুলোতে পর্যটক না আসায় চরম মন্দাভাব চলছে।


টানা বৃষ্টি, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চলগুলো হ্রদের পানিতে তলিয়ে যায়। সেইসঙ্গে ডুবে যায় ঝুলন্ত সেতু।


হোটেল-মোটেল মালিকরা বলছেন, তাদের হোটেলগুলোতে আশানুরূপ পর্যটক নেই। পর্যটন মৌসুমের সময়ও তাদের ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে।


রাঙামাটি ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন, এখন ট্যুরিস্ট আসার মৌসুম। কিন্তু ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকায় ট্যুরিস্টরা রাঙামাটি আসছেন না। ট্যুরিস্ট বোট মালিকরা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, বোট চালকরা বেকার সময় পার করছেন।


রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ম্যানেজার আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ঝুলন্ত সেতু ডুবে থাকায় গত দু’মাস ধরে পর্যটক সমাগম কমে গেছে। হ্রদের পানি কমে গেলে আবারো পর্যটক সমাগম বাড়বে।


কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে ১০৮ ফুটের বেশি পানি রয়েছে।  


এদিকে হ্রদে পানি বাড়ায় জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো ডুবে রয়েছে। কৃষি জমিগুলো ডুবে থাকায় আমন ধানের চাষ করতে পারছে না কৃষকরা।  


রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও পর্যটন বিষয়ক আহ্বায়ক মো. হাবিব আজম বলেন, রাঙামাটির পর্যটনখাতের উন্নয়নে দেড়শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়ন করতে এ বাজেট দেওয়া হয়েছে। আশাকরছি কয়েক বছরের মধ্যে রাঙামাটি পর্যটনখাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।


রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার বলেন, পর্যটনখাতের উন্নয়নে জেলা পরিষদ কাজ করছে। ঝুলন্ত সেতুটি সংস্কার নিয়ে কি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে।


আরএ

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *