বান্দরবানের কেওক্রাডং ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা উঠছে ১ অক্টোবর

Google Alert – কুকি চিন

প্রায় তিন বছর পর বান্দরবানের রুমা উপজেলার কেওক্রাডং পাহাড়চূড়ায় পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা উঠছে ১ অক্টোবর। ২০২২ সালের শেষের দিকে সশস্ত্র সংগঠন ‘কুকি-চিন’ ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন।

শনিবার বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপনের আলোচনার সভায় কেওক্রাডং ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা বলেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি।

শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটিকে সামনে রেখে পর্যটক ও পর্যটন-সংশ্লিষ্টদের অনুরোধে এবং আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতির কথা বিবেচনা নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, “জেলার সার্বিক পরিস্থিতিসহ সব দিক বিবেচনা করে পাহাড়চূড়ায় পর্যটক ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে বিদ্যমান নিয়মকানুন মেনে পর্যটকেরা সেখানে ভ্রমণ করতে পারবেন।”

বান্দরবানের আবাসিক হোটেল-মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন বলেন, “গত ৬ জুন রুমার বগালেক এবং থানচির তিন্দু ও তমাতুঙ্গি এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও পর্যটকদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্পট কেওক্রাডং খুলে দেওয়া হয়নি। কেওক্রাডং খুলে দেওয়া হলে পর্যটক প্রবাহ আরও বাড়বে।”

সেইসঙ্গে থানচির রেমাক্রি ও নাফাখুম পর্যটন স্পটও খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, “রেমাক্রি ও নাফাকুম এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সব পর্যটন স্পট খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।”

২০২২ সালের অক্টোবরে পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এবং নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শ্বারকীয়ার’ বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনার পর রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি ও আলীকদম উপজেলা একে একে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে।

পরে পর্যায়ক্রমে সবকটি উপজেলা থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও কেওক্রাডং পাহাড় ও রেমাক্রি জলপ্রপাত এলাকা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়।

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তিন বছর পর ১ অক্টোবর থেকে কেওক্রাডং পাহাড় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *