Google Alert – সেনাপ্রধান
বৈঠকের প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে, ওভাল অফিসে একটি খোলা কাঠের বাক্সে রাখা খনিজ পদার্থের দিকে ইঙ্গিত করছেন জেনারেল মুনির এবং তা দেখছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও উপস্থিত ছিলেন এবং এটি প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে শেহবাজ শরিফ বিশ্বজুড়ে সংঘাত নিরসনে “আন্তরিক প্রচেষ্টার” জন্য ট্রাম্পকে “শান্তির মানুষ” হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি জুলাই মাসে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত শুল্ক চুক্তির জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। এই চুক্তির অধীনে পাকিস্তানি আমদানিতে ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের তেল রিজার্ভ উন্নয়নে সহায়তা করবে। শরিফ মার্কিন সংস্থাগুলোকে পাকিস্তানের কৃষি, আইটি, খনি ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণও জানান।
এই বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছে। সম্প্রতি, পাকিস্তানের ফ্রন্টিয়ার ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি-ভিত্তিক সংস্থা ‘ইউএস স্ট্র্যাটেজিক মেটালস’-এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এর অধীনে পাকিস্তানে একটি খনিজ শোধনাগার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শরিফ পূর্বে দাবি করেছেন যে পাকিস্তানে ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের খনিজ সম্পদ রয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে। তবে, পাকিস্তানের বেশিরভাগ খনিজ সম্পদ সংঘাতপূর্ণ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে অবস্থিত, যা উত্তোলনের ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
ডিবিসি/এনএসএফ