Google Alert – বাংলাদেশ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা পালানোর পর থেকে হিন্দুত্ববাদী ভারত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মোদি গংরা এখনো তৎপর। দিল্লিতে বসে মাফিয়ানেত্রী হাসিনা একের পর এক হুঙ্কার দিচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছেÑ কলকাতায় বসে আওয়ামী লীগ নেতারা বাংলাদেশে আক্রমণের চক্রান্ত করছে। বাংলাদেশ নিয়ে দিল্লির সব ধরনের চক্রান্ত ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের পথে হাঁটছে। ১২ কোটি ভোটার যখন ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে তখন জামায়াতের নেতা বাংলাদেশ আক্রমণের জন্য ভারতকে উসকানি দিচ্ছে। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে (স্থানীয় সময়) বাংলাদেশ আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের (কোবা) আয়োজিত অনুষ্ঠাতে জামায়াতের নায়েব আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আবু তাহের নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী ভারতকে বাংলাদেশের উপর আক্রমণ চালানোর জন্য উসকে দেন। ভারত আক্রমণ করলে জামায়াতের ৫০ লাখ কর্মী কিভাবে যুদ্ধ করবে সে কৌশলও তিনি তুলে ধরেন। ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আবু তাহেরের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসীরা যেমন চরম বিক্ষুব্ধ তেমনি বাংলাদেশে অনেকেই ধিক্কার জানাচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘের অধিবেশনে এসে এমন বক্তব্যকে অনেকেই ‘দেশের বিরুদ্ধে গাদ্দারি’ হিসেবে অবিহিত করছেন। বিশেষ করে নেট দুনিয়ায় জামায়াত নেতার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ চলছে। নেটিজেনদের অনেকেই লিখেছেন, হাসিনা পালানোর গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতে জুডিশিয়াল ক্যু, আনসার বিদ্রোহে সচিবালয় ঘেরাও, সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভুয়া অভিযোগ তুলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা, গার্মেন্টসে বিশৃংখলা, পাহাড়ে অশান্তির চেষ্টা হয়েছে সেগুলোর নেপথ্যে কি জামায়াতের ইন্ধন ছিল? কেউ কেউ অবশ্য জামায়াতের লিখেছেন, ১৯৪২ সালে প্রতিষ্ঠার পর জামায়াত সবসময় ছিল জনবিরোধী অবস্থানে। সাতচল্লিশে দেশভাগ, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধিতা করেছে। ’৮৬ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে এরশাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার নির্বাচনে অংশগ্রহণ, ’৯৪ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আন্দোলন করেছে। ২০২৪ সালে অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের অপরাধী নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বাংলাদেশ আক্রমণে ভারতকে উসকে দেয়ার কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ইসলামী রাজনীতির দাবি করলেও জামায়াত কার্যত বিষধর সাপের মতোই। রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহিদ উর রহমান জামায়াত ‘ভারতের দালালির’ পর ডা. তাহেরের মুখে জিহাদি জোশ তুলছেন মন্তব্য করে বলেছেন, জামায়াত নেতার ভারত কর্তৃক বাংলাদেশ আক্রমণের আহ্বান কী বার্তা দেয়?
জামায়াত ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিযদ্ধের বিরোধিতা করার জন্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়নি। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনার পলায়নের পর ’২২-এর চেতনা ধারণের নামে একাত্তর মুছে দেয়ার চেষ্টা করেছে। এনসিপিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান লেখার প্রস্তাবনা দিয়েছে। ম্ুিক্তযুদ্ধ এবং একাত্তরের চেতনা কার্পেটের নিচে চাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। এখন ভারতকে বাংলাদেশ আক্রমণ করার জন্য উসকে দিয়ে নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ করতে চায়! ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিজেদের প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণ করতে চায় দলটির নেতারা। এ জন্য তাদের ৫০ লাখ কর্মীকে প্রস্তুত করা হয়েছে, পরিকল্পনা করা হয়েছে যুদ্ধের রণকৌশলও। সব প্রস্তুতি গ্রহণ করে এখন বাংলাদেশে ভারতের আক্রমণের জন্য দোয়া করছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েব আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আবু তাহের। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে (স্থানীয় সময়) বাংলাদেশ আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের (কোবা) উদ্যোগে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, দেশের স্বার্থ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস হবে না। আমাদের কমপক্ষে ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে। তিনি বলেন, অতীতে রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনায় বলা হয়েছেÑ জামায়াত ক্ষমতায় এলে ভারতের হামলার আশঙ্কা রয়েছে। আমি দোয়া করতেছি, এরা (ভারত) যেন ঢুকে পড়ে। ভারত ঢুকলেই (যুদ্ধের জন্য) আমাদের সেই বদনাম যাবে, যা ১৯৭১ সালে চাপানো হয়েছিল। তখন আমরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ করার একটি সুযোগ পাবো।’
জামায়াত নেতা বলেন, যদি প্রতিবেশী কারো আগ্রাসন ঘটে, পাশের দেশের লোক ঢুকলে আওয়ামী লীগ কখনো তাদের (ভারত) বিরুদ্ধে যুদ্ধ তো করবেই না; বরং সহযোগিতা করবে।’ আরেক বড় দল (বিএনপিকে ইঙ্গিত করে) তারা যুদ্ধ করবে না, আবার যুদ্ধ করার মতো তারা সংগঠিতও নয়। তখন যুদ্ধ করলে সংগঠিত শক্তি হিসেবে জামায়াতই সামনের সারিতে থাকবে, তাহলে ভারত আক্রমণ করলে এবং যুদ্ধ করলে সংগঠিত শক্তি হলাম আমরা (আওয়ামী লীগ যুদ্ধ করবে না, আরেকটি বড় দল সংগঠিত নয়)। তখন আমরা হবো খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা।
আবদুল্লাহ তাহের বক্তব্যে যুদ্ধেও কৌশলগত দিকনির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, কমপক্ষে ৫০ লাখ যুবক তো ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা যুদ্ধে আসবে। তাদের দুই ভাগ করে দেবো। এক ভাগ গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেবে, যারা ঘোড়া নিয়ে অগ্রসর হবে, ঘোড়া থেকে নামলেই লাঠি দিয়ে বাড়ি। বাকিরা বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। পুরো অঞ্চলেই স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হবে। রাসূল (সা.)-এর গাজওয়া সম্পর্কিত হাদিসের বাস্তবায়ন তখন মহাপরিকল্পনা হয়ে দাঁড়াবে।
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আবু তাহের উপস্থিত জামায়াত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ভারত ঢুকলে ভালো না খারাপ? এ সময় তেমন কোনো সাড়া না পেলে তিনি জামায়াত নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে বলেন, ভালো বলেন, ভালো বলেন। এ সময় ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে তিনি দাবি করেন, ‘আমাদের কমপক্ষে ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে।’
আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলের বেশির ভাগ সময়ই নিষ্ক্রিয় বা গুপ্ত (আওয়ামী লীগের সাথে জামায়াত এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে শিবির মিশে) অবস্থায় রাজনীতি চালিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দলটি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসনসহ সরকারের সব খাতে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এখন স্বপ্ন দেখছে ক্ষমতা গ্রহণের। এ লক্ষ্যে গড়ে তুলেছে প্রশিক্ষিত বাহিনীও, যার সংখ্যা ৫০ লাখ। যারা যুদ্ধ করতেও প্রস্তুত। আলোচনা রয়েছে প্রশাসনে হাসিনার অলিগার্ক আমলাদের অনেকেই জামায়াতের উর্দি পড়ে জামায়াতি সেজেছেন।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জাকাতের অর্থনৈতিক ব্যবহারের প্রসঙ্গেও জামায়াতে নায়েবে আমির ডা. তাহের বক্তব্য দেন। তার মতে, অফিসিয়ালি জাকাত আদায় হলে তিন থেকে চার বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। সেই অর্থ দিয়ে কর্মসংস্থান তৈরি ও ব্যবসায়িক উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
এদিকে জামায়াত নেতা ডা. তাহেরের বাংলাদেশে আক্রমণে ভারতকে উসকে দেয়া নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান বলেছেন, জামায়াতের ‘ভারতের দালালির’ পর দলনেতা ডা. তাহেরের মুখে জিহাদি জোশ রহস্যজনক। নিউ ইয়র্কে এক সভায় জামায়াতের নায়েবে আমির ভারতের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধের আলাপ তুলেছেন।
তিনি বলেন, জামায়াতের নায়েবে আমিরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যখন ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’-এর আওয়াজ তোলেন, তখন তা আসলে ভারতের বিজেপি সরকারকেই সাহায্য করে। বিজেপি এই বক্তব্য ব্যবহার করে বাংলাদেশে ধর্মযুদ্ধের হুমকি তুলে ধরে তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সুবিধা নিতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ কেন তার এমন মন্তব্য? তাহের দাবি করেন, ভারত যদি বাংলাদেশে আক্রমণ করে কমপক্ষে ৫০ লাখ যুবক দেশটির বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ করবে, যার এক ভাগ গেরিলা যুদ্ধে যাবে এবং বাকি অর্ধেক বিস্তৃত এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। তিনি এটিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গাজাওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কিত যে হাদিস আছে সেটি বাস্তবায়নের মহাপরিকল্পনা হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না; বরং সহযোগিতা করবে। অন্য দলগুলোও যুদ্ধ করার মতো সংগঠিত নয়। তাই জামায়াতই হবে সেই ‘সংগঠিত শক্তি’ এবং ‘খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা’। প্রশ্ন হচ্ছে বিগত আওয়ামী লীগের জুলুম-নির্যাতন শাসনামলে ১৫ বছর বিএনপির নেতারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন করেছেন, কারাগারে গেছেন, সেখান থেকে বের হয়ে ফের রাজপথে নেমেছেন। অথচ জামায়াত ১৫ বছর গর্তে লুকিয়ে ছিল। ডা. জাহেদ জামায়াত নেতার বাগাড়ম্বরকে ‘জিহাদি জোশ’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রশ্ন তোলেন, গত ১৫ বছর যে জামায়াত নেতারা ‘গর্তে লুকিয়ে’ ছিলেন এবং আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আতাত করেছিলেন তারা এখন কীভাবে এত বড় জিহাদি কথা বলছেন? ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের গণহত্যাকে জামায়াতের সমর্থন করাটা ‘মারাত্মক ক্রাইম’, এটি কোনো ভুল ছিল না।
জাহেদ উর রহমান বলেন, ডা. তাহের আগে বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে ভারতীয় গবেষক শ্রীরাধা দত্তের সাথে বৈঠকে জাতায়াতকে ‘প্রো-ভারত’ (ভারতপন্থি) মন্তব্য করেছিলেন। তিনি ভারতকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন, জামায়াত অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত নয় এবং তারা ক্ষমতায় গেলে শরিয়াহ আইন আনবে না। ডা. জাহেদ মনে করেন, জামায়াত নেতা ডা. তাহেরের এই হঠাৎ ‘জিহাদি জোশ’ দেখানোর কারণ হলো, বাংলাদেশে দীর্ঘকাল ধরে বিদ্যমান ভারতবিরোধী সেন্টিমেন্টের কারণে তার পূর্বের ‘জামায়াত প্রো-ভারত’ মন্তব্যের জেরে ভোটের রাজনীতিতে যে সঙ্কট তৈরি হতে পারে, সেই ‘ভারতের দালাল’ তকমাটি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হতে পারে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সময় গত ১৫ বছরের পর জামায়াত গর্তে ঢুকে ছিল। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে সমাবেশ করেছিলেন এবং তাদের বিভিন্ন লোকজন ছাত্রলীগ হয়ে উঠেছিলেন। ছাত্রশিবির বা তারা বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের পার্ট হয়ে তাদের সাথে আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে চলেছেন। কত বড় জিহাদি তারা। অথচ এই সময়টিতেই বিএনপিকে আমরা দেখেছি মাঠে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাওয়া। শুধুমাত্র বিএনপি ক্রমাগত শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং তার জন্য চরম মূল্য দিয়েছে। ঠিক সেই সময়টায়, এরা গর্তে লুকিয়ে ছিলেন এবং এখন বিরাট লম্বা-লম্বা কথা বলছেন। আর তারা বলছেন এরকম যে একাত্তরে নাকি তাদের বদনাম গেছে যা ১৯৭১ সালে মিথ্যাভাবে চাপানো হয়েছে। জামায়াত নেতা এখন গাজাওয়াতুল হিন্দের কথা আনছেন। কেন এত জিহাদি জোশ? আবার ভারতকে খুশি করতে জামায়াত শরিয়াহ আইন করবে না দাবি করছে। ডা. জাহেদ প্রশ্ন করেন, জামায়াত যদি শরিয়াহ আইন না আনে তাহলে আসলে জামায়াত কিসের ইসলামী রাজনীতি করে? তাদের দলের সাথে ‘ইসলামী’ শব্দটা কেন রেখেছে? সেই প্রশ্নটির জবাব আমরা চাইব।