ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো হুথিরা

Google Alert – সামরিক

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা মধ্য ইসরায়েল ও দক্ষিণ পশ্চিম তীর লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এ সময় ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনায় মধ্য ইসরায়েল ও দক্ষিণ পশ্চিম তীরের কয়েকটি বসতিতে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাবে প্রায়ই ইসরাইলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হুথিরা। এর পাল্টায় ইসরায়েলও ইয়েমেনে বিমান হামলা চালায়।

এদিকে স্থানীয় সময় রোববার গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে বহু ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন। আল জাজিরা জানায়, এসব হামলায় আবাসিক এলাকা, স্কুল ও হাসপাতাল ধ্বংস হচ্ছে। আহতদের কাছে চিকিৎসা পৌঁছানোও কঠিন হয়ে পড়েছে।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল বাররো বলেন, ইসরায়েলের বর্তমান নীতি কেবল গাজার নয়, তাদের নিজেদের নাগরিক এবং বন্দিদের জন্যও বিপদজনক। তার মতে, ‘গাজার ওপর মানবিক অবরোধ তুলে না নেয়া, অর্থনৈতিক চাপ বন্ধ না করা এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখা শাস্তিমূলক হতে পারে।’

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি জানান, গাজার স্কুলগুলো ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়ে গেছে। মানুষ ধ্বংসস্তূপে বসবাস করছে। তাদের প্রতিদিনের সবচেয়ে বড় চিন্তা খাদ্য ও সুপেয় পানি পাওয়া।

এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৬৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৬২ জন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখো বাসিন্দা।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *