Google Alert – সেনাপ্রধান
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:১৯
রাশিয়া এবং ন্যাটো জোটের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মস্কোর শীর্ষ কূটনীতিক বিশ্বনেতাদের কাছে জোর দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপে আক্রমণ করার ইচ্ছা পোষণ করে না, তবে যে কোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত জবাব দেওয়া হবে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে ন্যাটো তাদের আকাশসীমায় ড্রোন ও যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে। বিশেষ করে পোল্যান্ডের আকাশে ‘রাশিয়ার’ ড্রোন ভূপাতিত করার পর এবং এস্তোনিয়ায় রুশ যুদ্ধবিমানের ১২ মিনিট ঘোরাফেরার পর ইউরোপে উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়।
রাশিয়া বলেছে, এগুলো পোল্যান্ড কিংবা এস্তোনিয়াকে লক্ষ্য করে করা হয়নি। ভুলক্রমে প্রবেশ করেছে, বিশেষ করে ইউক্রেনীয় সিগন্যাল-জ্যামিং ডিভাইসগুলো এগুলোকে পথভ্রষ্ট করেছে।
কিন্তু ইউরোপীয় নেতারা ঘটনাগুলোকে ইচ্ছাকৃত ও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ন্যাটো জোট এই সপ্তাহে রাশিয়াকে সতর্ক করে বলছে, ন্যাটোর আকাশসীমায় আর কোনো লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্য সমস্ত উপায় ব্যবহার করা হবে।
এ অবস্থায় জাতিসংঘে ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়া হুমকির সম্মুখীন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘রাশিয়ার কখনো ইউরোপীয় বা ন্যাটো দেশগুলোতে আক্রমণ করার কোন ইচ্ছা ছিল না এবং ইচ্ছা নেই। তবে আমার দেশের বিরুদ্ধে যে কোনো আগ্রাসনের একটি চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া হবে। ন্যাটো এবং ইইউ সদস্যদের মধ্যে এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বের পরিস্থিতির জন্য এবং মানবতাকে একটি নতুন যুদ্ধে নিমজ্জিত করতে পারে – এমন ঝুঁকি এড়ানোর জন্য, একটি বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে।’
এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে লাভরভ বলেন, ইসরায়েল শিশুসহ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে, এর কোনো যুক্তি নেই।