Google Alert – সামরিক
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসি-কে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা হামাস প্রত্যাখ্যান করতে পারে।
কারণ, এ পরিকল্পনায় ‘ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে’ এবং ‘ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছে’।
হামাসের নিরস্ত্র হওয়া এবং অস্ত্র হস্তান্তর করতে রাজি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা- যেটি ট্রাম্পের পরিকল্পনার মূল শর্ত।
তাছাড়া, হামাস গাজায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতাকরণ বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনেরও বিরোধী, বলা হয়েছে এমন কথাও। এই বাহিনী মোতায়েনকে হামাস নতুন ধরনের দখলদারিত্ব হিসাবেই দেখছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তবেক হামাস এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরিকল্পনার বিষয়ে তাদের জবাব জানায়নি।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাবটি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পড়ে দেখছে।
তবে গাজায় হামাসের সামরিক কমান্ডার ইজ-আল দিন আল-হাদ্দাদ শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণ করার চেয়ে বরং লড়াই চালিয়ে যেতেই বদ্ধপরিকর বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামলায় অংশ নেওয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ’ (পিআইজে), যাদের হাতে এর আগে কিছু জিম্মিও বন্দি ছিল, তারা মঙ্গলবার ট্রাম্পের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে।
হামাসের জন্য এই শান্তি পরিকল্পনায় প্রধান যে শর্তটি আপত্তিকর, তা হচ্ছে- একবারে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি। কারণ, সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া মানে তাদের দরকষাকষির একমাত্র হাতিয়ার ছেড়ে দেওয়া।
পরিকল্পনায় ট্রাম্পের সমর্থন থাকলেও ইসরায়েল একবার জিম্মিদেরকে হাতে পেয়ে গেলে যে আবার গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করবে না সে বিষয়ে বিশ্বাসের অভাব আছে হামাসের।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে উপেক্ষা করে এ মাসের শুরুতে ইসরায়েল কাতারে হামাস নেতাদের ওপর হামলা করার যে নমুনা দেখিয়েছে তাতে এই আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।
