প্রথম আলো
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘আগে স্বৈরাচার সরকার আমাদের আদিবাসী বলতে দেয়নি, বারণ করেছে। এখনো কি তা–ই হবে? আর কোন একটি গ্রুপ এসে এনসিটিবিকে গ্রাফিতি বাদ দিতে বলল, আর তারা বন্ধ করে দিল! সরকার হামলাকারীদের ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সেটা করছে না।’
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হোসেন রুবেল বলেন, আদিবাসীদের আওয়াজ উঁচু করতে হবে। আওয়াজ যত উঁচু হবে, অন্য পক্ষের লোক তত আপনাদের কথা শুনতে বাধ্য হবে। আওয়াজ উঁচু করেই স্বীকৃতি ও অধিকার আদায় করতে হবে।
মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে হামলায় গুরুতর আহত রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘তারা আমাদের নিঃশেষ করার জন্য মেরে ফেলতে চায়। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে সবাইকে এই লড়াইয়ে শামিল হতে হবে।’
ওই হামলায় গুরুতর আহত আরেকজন ডন যেত্রা বলেন, ‘যতই অন্যায়-অবিচার হোক, হামলা-নির্যাতন হোক, রক্ত দিয়েছি, আরও দিতেও প্রস্তুত আছি। হয়তো রাজপথে মরে যাব। তবু অধিকার আদায় করেই ঘরে ফিরব।’