Bangla Tribune
‘জুলাই শহীদদের নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ও গণহত্যায়’ জড়িত পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতারের দাবিতে রাজধানীর পুলিশ সদর দফতর ঘেরাও কর্মসূচি আটকে দিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে থেকে এই যাত্রা শুরু করলে পথিমধ্যে পুলিশের বাধার মুখোমুখি হন তারা। পরে ব্যারিকেডের সামনেই দাঁড়িয়ে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যেতে দেখা গেছে।
এর আগে পুলিশ সদর দফতর ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে ‘জনতার জুলাই যাত্রা’ ডাক দেয় ইনকিলাব মঞ্চ। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশ করে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেন তারা। শাহবাগ থানার সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের দিকে রওনা হন আন্দোলনকারীরা। পরে তাদের মিছিলটি হাইকোর্ট ভবনের সামনে গেলে আটকে দেয় পুলিশ।
‘ঘেরাও’ কর্মসূচিতে পুলিশের ব্যারিকেডে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীরা জানান, জুলাই শহীদদের নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ও গণহত্যায় জড়িত দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে ভিডিও দেখে শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানান তারা।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত সব পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার ও বিচার, মামলা, মিথ্যা প্রতিবেদন ও হয়রানিতে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; পুলিশে চাকরিরত ছাত্রলীগ সদস্যদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো, জুলাই গণহত্যার দায়ে তিরস্কৃত ও বদলিকৃত পুলিশ সদস্যদের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ এবং জুলাই গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলি করতে হবে।
সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের জড়িতদের মধ্যে যাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হেডকোয়ার্টারের সামনে মিছিল করেছে। যাদের জেলে থাকার কথা তারা কীভাবে মিছিল করে। আবার দেখা যায়, অনেককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বদলি করা হয়েছে। আমরা এই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার ঘেরাও করবো।