যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয়দের নির্বাসন নিয়ে এস জয়শঙ্করের মন্তব্য

চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

অবৈধ অভিবাসীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো কোনও নতুন ঘটনা নয়, বরং এটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

এনডিটিভি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজ্যসভায় বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, প্রতি বছর শত শত ভারতীয়কে অবৈধভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বা অবস্থানের কারণে ফেরত পাঠানো হয়। ২০১২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫৩০, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২০০০-এর বেশি।

মন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, আইনি অভিবাসনকে উৎসাহিত করা এবং অবৈধ চলাচলকে নিরুৎসাহিত করা উচিত আমাদের সম্মিলিত স্বার্থে। যদি কোনও দেশের নাগরিক অবৈধভাবে বিদেশে বসবাস করেন, তবে তাদের ফিরিয়ে নেওয়া সেই দেশের দায়িত্ব।

মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, নির্বাসিতদের শিকলবন্দী অবস্থায় একটি সামরিক উড়োজাহাজে তোলা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলগুলো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। জয়শঙ্কর জানান, ভারত সরকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে যে নির্বাসিতদের সাথে যেন মানবিক আচরণ করা হয়।

বিরোধী দলের সাংসদরা সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, ভারত সরকার তার নাগরিকদের মর্যাদার সাথে ফিরিয়ে আনার জন্য কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে প্রশ্ন তুলেছেন, আমরা বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি, তাহলে কেন কলম্বিয়ার মতো দেশ তার নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে উড়োজাহাজ পাঠাতে পারে, অথচ ভারত পারে না?

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবসহ অন্যান্য বিরোধী নেতারা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেছেন। বিরোধীদের দাবির প্রেক্ষিতে জয়শঙ্কর জানান, আমরা নিশ্চিত করছি যে নির্বাসিতদের সাথে যেন মানবিক আচরণ করা হয় এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হয়। তিনি দাবি করেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষ নারী ও শিশুদের আটক রাখেনি এবং নির্বাসিতদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

তবে, নির্বাসিতদের অভিযোগ ভিন্ন। অনেকেই বলেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে তাদের হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়েছিল এবং টয়লেট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। গুরুদাসপুরের ৩৬ বছর বয়সী জসপাল সিংহ জানান, তিনি একজন দালালকে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বৈধ উপায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য, কিন্তু তাকে বিপজ্জনক অবৈধ পথে পাচার করা হয়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *