Bangla Tribune
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারের একটি বিমান। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বিমানটিতে ১৭৫ যাত্রী ও ৬ ক্রুসহ মোট ১৮১ আরোহী ছিল। এখন পর্যন্ত দুজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকীরা সবাই নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬ বিমানটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করে। সকাল ৯টার কিছু পরে বিমানটি অবতরণের চেষ্টার সময় দেয়ালে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে এটিতে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটি ল্যান্ডিং গিয়ার ছাড়াই রানওয়ে বরাবর নেমে আসে এবং দেয়ালে আঘাত করে। অন্যান্য ছবিতে বিমানের বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
প্রায় তিন দশকের মধ্যে এটিই দক্ষিণ কোরিয়ার কোনও এয়ারলাইনের সবচেয়ে ভয়াবহ ও মারাত্মক দুর্ঘটনা।
মুয়ান ফায়ার সার্ভিস প্রধান লি জং-হিউন জানিয়েছেন, দুই ক্রু সদস্যকে বিমানের পিছনের অংশ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকীদের উদ্ধার কার্যক্রম এখন মরদেহ উদ্ধার অভিযানে পরিণত হয়েছে। সংঘর্ষের তীব্রতার কারণে দেহের খণ্ডিত অংশ বিমান থেকে ছিটকে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিমানটির শুধু লেজের অংশ কিছুটা অক্ষত রয়েছে। বাকিটা প্রায় চেনার অযোগ্য অবস্থায় পরিণত হয়েছে। অবশ্য জলন্ত বিমানটির আগুন স্থানীয় সময় বেলা ১টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর পরিবারের সদস্যরা বিমানবন্দরের এলাকায় জড়ো হয়েছেন। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে বন্দর এলাকা।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি চোই সাং-মক সিউলে এক জরুরি বৈঠক শেষে মুয়ান এলাকাকে বিশেষ দুর্যোগ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছেন।