প্রথম আলো
বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব আশঙ্কা বা ধারণার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। শহীদ মিনারে বড় জমায়েতের মাধ্যমে তাঁরা এই বার্তা সব পর্যায়ে পৌঁছাতে চান যে অভ্যুত্থানের শক্তি এখনো ঐক্যবদ্ধ। তাঁরা মনে করেন, এর মাধ্যমে তাঁদের জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
নেতারা জানান, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র আরও আগে ঘোষণার পরিকল্পনা থাকলেও নানা কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। ২০২৪ সাল পার হয়ে গেলে এর প্রতীকী তাৎপর্য কমে যাবে। এ বছরের মধ্যেই ঘোষণাপত্র মানুষের সামনে নিয়ে আসা এবং নতুন করে আলোড়ন তৈরি করার জন্যই বছরের শেষ দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রে কোনো দাবিদাওয়ার বিষয় থাকবে না। এতে মূলত অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, আকাঙ্ক্ষা ও আগামীর প্রত্যাশিত বাংলাদেশের একটি চিত্র থাকবে।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জোটে থাকা দলগুলো বাদে বাকি সব দলের নেতাদের ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। তবে তাঁরা বলছেন, মঞ্চে রাজনৈতিক কোনো দলের নেতারা থাকবেন না। মঞ্চে থাকবেন জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিরা। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গত ৩ আগস্ট ঘোষিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক টিমের সদস্যরা। এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের একাধিক উপদেষ্টাও অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন।
‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেওয়া হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে। আর এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের সহযোগিতা করছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় লেখা পৃথক দুটি ঘোষণাপত্র শহীদ মিনারে পাঠ করা হবে।