‘হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলেই আত্মা শান্তি পাবে’

Kalbela News | RSS Feed

বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের পর শহীদ সাহারিয়া হাসানের বাবা আবুল হাসানের বক্তব্যের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ মার্চ ফর ইউনিটি শুরু হয়।

এরপর মঞ্চে উঠে শহীদ সাহারিয়া হাসানের বাবা আবুল হাসান বলেন, ‘প্রতি মুহূর্তে আমার সন্তানকে অনুভব করি। আমাদের কান্না কখনো থামবে না। খুনি হাসিনা যে দুই হাজার ছেলেমেয়েকে হত্যা করেছে, আমি এর জন্য তার ও তার মন্ত্রিসভার সদস্য, হেলমেট বাহিনীর বিচার চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলেই আমাদের শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা আমাদের সন্তানদের হত্যার বিচার চাই।’

‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন হাজারো ছাত্র-জনতা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ সমন্বয়করা মঞ্চে অবস্থান নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগান দেন। এ সময় তার সঙ্গে যোগ দেন উপস্থিত ছাত্র-জনতা।

মঞ্চে আরও দেখা গেছে জাতীয় নাগরিক কমিটির আখতার হোসেন, নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারীসহ অন্যান্য নেতাদের।

উল্লেখ্য, গত রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করা হবে। কিন্তু সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এ নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় রাত ১০টা থেকে ১টা বৈঠক করে। পরে তারা সিদ্ধান্ততে আসে মঙ্গলবার কর্মসূচি হবে, কিন্তু ঘোষণাপত্র প্রকাশ কর্মসূচি নয়। মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচি।

এর আগে সোমবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনার সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হবে।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *