রাশিয়া হাসছে, ইউরোপ কাঁদছে… | প্রথম আলো

প্রথম আলো

ট্রাম্প আরও মিথ্যা বলেছেন যে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। বাস্তবে এর তিন ভাগের এক ভাগ অর্থ তারা ব্যয় করেছে।

মিথ্যার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইউক্রেন সরকারকে গণতান্ত্রিক ও বৈধতা পেতে হলে সেখানে অবশ্যই নির্বাচন হতে হবে।

এটা মিথ্যার চেয়েও খারাপ। কেননা, রাশিয়ান প্রপোগান্ডা এটা। সত্য হচ্ছে, ইউক্রেনের পার্লামেন্টে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ভোট স্থগিত করে। কেননা, একটা দেশে যখন যুদ্ধ চলছে এবং দেশটি যখন সামরিক আইনে চলছে, সেখানে ভোট অসম্ভব।

সেই সিদ্ধান্ত ছিল গণতান্ত্রিক। সব রাজনৈতিক দল তাতে সমর্থন দিয়েছিল। তারা ঐকমত্যে পৌঁছেছিল যে সামরিক আইন তুলে নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ইউক্রেনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

জেলেনস্কির ওপর ট্রাম্পের এই আক্রমণে তাঁর প্রতি ইউক্রনীয়দের সমর্থন আরও দৃঢ় হবে।

ট্রম্পের কথায় রাশিয়ানরাও যে বিস্মিত, সেটা প্রকাশ করতে তাঁরা মোটেও লজ্জা পাচ্ছেন না। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং রাশিয়া সিকিউরিটি কাউন্সিলের সহ-চেয়ার দিমিত্রি মেদভেদেভ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘এই কথা যদি তিন মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টের মুখ থেকে শুনতাম, তাহলে আমি উচ্চ স্বরে হেসে উঠতাম।’

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *