চট্টগ্রামস্থ পলিটেকনিক আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও বার্ষিক শিক্ষাসফর অনুষ্ঠিত – হিল ভয়েস

হিল ভয়েস

হিল ভয়েস, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, চট্টগ্রাম: আজ ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,রোজ শুক্রবার, “এসো প্রাণে প্রান মিলায় শেখরের টানে, মোরা আত্মিক বন্ধন গড়ি ঐকতানে” এই প্রতিপাদ্যে গুলিয়াখালী, চট্টগ্রামে চট্টগ্রামস্থ পলিটেকনিক আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ, বার্ষিক শিক্ষাসফর ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুপ্রিয় তঞ্চগ্যা, পিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অন্তর চাকমা, পিসিপি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সহ-সভাপতি সৌরভ চাকমা, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের  শিক্ষার্থী সোহেল তঞ্চগ্যা, চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী আবৃতি চাকমা, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থী আশুতোষ তঞ্চগ্যা প্রমুখ।

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী পূর্ণজ্যোতি চাকমার সঞ্চালনায় এবং সুমান চাকমা সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোহেল খিয়াং।

সোহেল সোহেল খিয়াং বলেন -চট্টগ্রামস্থ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ ধরণের অনুষ্ঠান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে চট্টগ্রামস্থ সকল জুম্ম শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন সৃষ্টি হয়।

আবৃতি চাকমা বলেন -আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এ শহরাঞ্চলে এসে অবস্থান করি। নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা প্রত্যেকে শহরে অবস্থান করছি । আমাদের শেকড় পাহাড় সেই শেকড়কে আমাদের মনে প্রাণে ধারণ করতে হবে এবং এই পাহাড়ের সুখ-দু:খ আমাদেরকে বুঝতে হবে। আমাদের শেকড় টিকে থাকলেই আমরা থাকব।

আশুতোষ তঞ্চগ্যা বলেন- শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য এ ধরণের আয়োজন প্রশংসনীয়। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে এবং চট্টগ্রামে বসবাস করা শিক্ষার্থীদের একে অপরের সাথে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন আরো সুদৃঢ় করতে হবে।

সৌরভ চাকমা বলেন -প্রতিবছর চট্টগ্রামস্থ পলিটেকনিক  শিক্ষার্থীরা এ আয়োজনটি করে থাকেন এটি খুবই প্রশংসার দাবিদার। শিক্ষার্থীদের সবসময় রাজনৈতিক, সামাজিক,সাংস্কৃতিক চেতনাকে ধারণ করতে হবে। মানুষের জীবনে রাজনীতি ওতপ্রোতভাবে জরিত। তাই শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা দরকার। ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর রাষ্ট্রের সাথে যে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল সেটি সম্পর্কেও একজন জুম্ম শিক্ষার্খী হিসেবে ধারণা রাখা প্রয়োজন। এই চুক্তি জুম্ম জনগণের একটি মুক্তির সনদ। এ সনদকে টিকিয়ে রাখতে সবার মধ্যে ভ্রাতৃত্ববন্ধন সৃষ্টি করতে হবে।

অন্তর চাকমা বলেন- পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা পাশ করার পরে অনেকে নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিবে।  পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অনেকে ইন্জিনিয়ারিং পড়ে নিজের অর্জিত জ্ঞানকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন এবং সফলতা ও অর্জন করেছেন। একজন জুম্ম শিক্ষার্থী হিসেবে পড়ালেখার পাশাপাশি নিজ জাতির জন্য কাজ করার প্রেরণা জাগ্রত করতে হবে। নিজ জাতি, সংস্কৃতি কে প্রাধান্য দিযে ভবিষ্যৎ জীবন গড়তে হবে।পৃথিবীর বুকে আমাদের মত সংখ্যায় কম জাতিগুলোকে ঠিকে থাকতে হলে পড়ালেখার বিকল্প নেই।

সকালের পর্বে খেলাধুলা আয়োজনের পরে আলোচনাসভা শুরু হয় এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সভাপতির বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনাসভা সমাপ্ত করা হয়।

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *