ত্রিপলিতে মিলিশা নেতা নিহতের ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি, জরুরি অবস্থা জারি

Google Alert – সশস্ত্র

ত্রিপলিতে মিলিশা নেতা নিহতের ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি, জরুরি অবস্থা জারি

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলিতে মিলিশা নেতা আবদেল ঘানি আল-কিকলি হত্যার পর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। শহরের দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। জননিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

জাতিসংঘের লিবিয়া বিষয়ক মিশন (UNSMIL) মঙ্গলবার (১৩ মে) ভোরে এক বিবৃতিতে দ্রুত উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভারী অস্ত্র ব্যবহারে জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন। বেসামরিক মানুষের সুরক্ষায় সব পক্ষকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে বলা হয়েছে।

আল কিকলি, যিনি ‘ঘেনিওয়া’ নামেই বেশি পরিচিত, ছিলেন ত্রিপলির অন্যতম প্রভাবশালী মিলিশা ‘স্ট্যাবিলিটি সাপোর্ট অথরিটি’-র (SSA) প্রধান। এই গোষ্ঠী ২০২১ সালে গঠিত জাতিসংঘ-সমর্থিত ‘গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ইউনিটি’-র (GNU) অধীনেই কাজ করত। তার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধের অভিযোগ ওঠে।

আল কিকলি নিহত হওয়ার পরপরই ত্রিপলির একাধিক এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারা রাতভর গুলির শব্দ ও বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে শহরের আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী ও সড়কে সশস্ত্র যোদ্ধাদের দেখা গেছে।

ত্রিপলির আবু সালিম ও সালাহউদ্দিন এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র। GNU’র প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা ইতোমধ্যে আবু সালিম এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকদের ঘরে অবস্থান করার অনুরোধ জানিয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাইরে চলাফেরায় বিরত থাকতে বলেছে। পাশাপাশি, ত্রিপলিজুড়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। তারা বেসামরিক নাগরিক নাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

এদিকে স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, যখনই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মুখোমুখি হয়, সাধারণ মানুষই তার শিকার হয়। ‘নিরীহ মানুষের মৃত্যু হলেও কাউকে জবাবদিহি করতে হয় না। আমরা ন্যায়বিচার চাই,’ বলেন এক বাসিন্দা।

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত ও হত্যার পর থেকে লিবিয়া রাজনৈতিকভাবে দ্বিধাবিভক্ত। তেলসমৃদ্ধ দেশটি দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলভিত্তিক দুইটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের অধীনে শাসিত হয়ে আসছে, যাদের পেছনে রয়েছে নানা ধরনের সশস্ত্র গোষ্ঠী ও আন্তর্জাতিক সমর্থন

সূত্র: আল জাজিরা

স্বদেশ প্রতিদিন/এমএম

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *