Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম
ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ডি লিট ডিগ্রি প্রদান করেছে।
গতকাল বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাকে এই ডিগ্রি প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চবি উপাচার্য ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার অধ্যাপক ইউনূসের হাতে ডি লিট ডিগ্রির সনদ তুলে দেন।
এ সময় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
দুটি নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য চবি গর্ববোধ করতে পারে মন্তব্য করে সমাবর্তন বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যখন নিজের পরিচয় দেয়, হয়তো নোবেলের জন্য গৌরব বোধ করে। কিন্তু চবির গৌরব বোধ করার কারণ দুটি আছে। পুরো কর্মসূচি, যার জন্য নোবেল পুরস্কার, এর গোড়াপত্তন হয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। একটি তো আমি ব্যক্তিগতভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছি। তারপর যে গ্রামীণ ব্যাংক সৃষ্টি হলো, এই ব্যাংকের গোড়াতেও চবি।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। ১৯৭২ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমার ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে দারিদ্র্য বিমোচন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি লিট ডিগ্রি প্রদান করছি।’
এ সময় শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান ও সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নয়টি অনুষদের ২২ হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষার্থী সমাবর্তনে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৪২ জনকে পিএইচডি ও ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়।