Google Alert – সেনাবাহিনী
কাশ্মীর ইস্যুতে ফের কড়া বার্তা দিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির। ইসলামাবাদে সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর নিয়ে কোনো দিন আপস করবে না পাকিস্তান। এটি শুধু একটি আঞ্চলিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক ইস্যু—যা কখনো ভুলে যাওয়া যাবে না।’
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এআরওয়াই নিউজ।
রাওয়ালপিন্ডির সেনা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘হিলাল টকস’ নামক একটি আলোচনায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আসিম মুনির বলেন, ভারত দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীর ইস্যু ধামাচাপা দিতে চাইলেও ব্যর্থ হয়েছে। আজও এই সংকট আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বহাল রয়েছে।
তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ সংকট, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের জন্য দেশটির বর্তমান শাসনব্যবস্থাকে দায়ী করেন। তার ভাষায়, ভারতে সন্ত্রাসবাদের জন্ম বৈষম্য ও অন্যায় থেকেই।
বেলুচিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি দাবি করেন, ওই অঞ্চলের অস্থিরতা বেলুচ জনগণের কারণে নয়, বরং ভারতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের কারণে।
তিনি বলেন, বেলুচিস্তানের সন্ত্রাসীরা বেলুচ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা ভারতের ছায়া-সংগঠন। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো প্রচার পাকিস্তান সহ্য করবে না।
পানি বণ্টন প্রসঙ্গে এসে সেনাপ্রধান স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, ‘পানি পাকিস্তানের লাল রেখা। ভারতের একচেটিয়া আধিপত্য আমরা মেনে নেব না।’
তিনি দাবি করেন, ২৪ কোটি পাকিস্তানির পানির অধিকার নিয়ে আপসের প্রশ্নই ওঠে না।
পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা তুলে ধরে আসিম মুনির বলেন, শিক্ষকরাই জাতির প্রকৃত সম্পদ। নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের ইতিহাস ও আত্মপরিচয় পৌঁছে দেওয়া তাদের দায়িত্ব।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় বিদ্যমান সমস্যাগুলোর কথা স্বীকার করে তিনি জানান, পাকিস্তান সেনাবাহিনী সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত, যাতে দেশের শিক্ষা ও উদ্ভাবন খাতে উন্নতি আনা যায়।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘সত্যের পক্ষে পাকিস্তান বরাবরই আল্লাহর সাহায্য পেয়েছে। জাতির ঐক্যই আমাদের লৌহপ্রাচীর, যা ভেদ করা অসম্ভব।’
আইএসপিআর-এর তথ্যমতে, আলোচনায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় ১৮০০ জন শিক্ষাবিদ, উপাচার্য, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সরাসরি এবং ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।