Google Alert – সামরিক
ইসলামবাদ, ৩০ মে – পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, গত ৯ ও ১০ মে মধ্যরাতে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তার দাবি, ফজরের নামাজের পর, অর্থাৎ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি বাহিনী প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তার আগেই ভারত হামলা চালায়। খবর এনডিটিভির।
আজারবাইজানে আয়োজিত এক সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে শেহবাজ বলেন, ‘৯-১০ মে রাতে আমরা ভারতীয় আগ্রাসনের যথোপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত ছিলাম। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী নামাজ শেষে ব্যবস্থা নেওয়ার অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু তার আগেই ভারত একতরফাভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আমাদের পরিকল্পনায় ছেদ ঘটায়।’
তিনি দাবি করেন, ভারতের হামলায় রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দরসহ পাকিস্তানের একাধিক প্রদেশে ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এই হামলার পেছনে পহেলগামে ২২ এপ্রিলের এক বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়া কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয় এবং এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। এরপরই দেশটির সামরিক বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে পাল্টা অভিযান শুরু করে।
অবশ্য, পাকিস্তানও এর জবাবে সীমান্ত এলাকায় সামরিক পদক্ষেপ নেয় বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
দু’দেশের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চলা উত্তেজনার পর ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম স্থগিত করতে এক চুক্তিতে পৌঁছায়। তবে এর পরও দুই পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিন্দুর’ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। অন্যদিকে, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে ইসলামাবাদ জয়ী হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও সে জয়কে স্বীকৃতি দিয়েছে।
সূত্র: ইত্তেফাক
আইএ/ ৩০ মে ২০২৫