Google Alert – সামরিক
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ অন্তত ১২ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এই অভিযানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চার সদস্য শাহাদত বরণ করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর)।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে এক বিবৃতিতে আইএসপিআর জানায়, উত্তর ওয়াজিরিস্তান ও চিত্রাল জেলায় পরিচালিত অভিযানে সাত জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। উত্তর ওয়াজিরিস্তানে ‘ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত খারিজ গোষ্ঠী’ সেনা চৌকিতে হামলার চেষ্টা করলে, সেনাবাহিনী তা প্রতিহত করে। এতে ছয় সন্ত্রাসী নিহত হন।
অভিযান চলাকালে ২৪ বছর বয়সী লেফটেন্যান্ট দানিয়াল ইসমাইল (জেলা মারদান), ৪২ বছর বয়সী নায়েব সুবেদার কাশিফ রেজা (চকওয়াল), ৩৫ বছর বয়সী ল্যান্স নায়েক ফিয়াকত আলী (হারিপুর) ও ২৬ বছর বয়সী সিপাহী মোহাম্মদ হামিদ (অ্যাবোটাবাদ) শাহাদত বরণ করেন।
চিত্রাল জেলায় এক পৃথক অভিযানে একজন ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী নিহত হন। বেলুচিস্তানের কেচ জেলায় আরেক অভিযানে আরও একজন সন্ত্রাসী নিহত হন।
বেলুচিস্তানের লোরালাই জেলায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত আরেক অভিযানে চার সন্ত্রাসী নিহত হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এই সন্ত্রাসীরা আগের বহু হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল, যার মধ্যে ছিল এন-৭০ মহাসড়কে ২০২৪ সালের আগস্ট ও ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত হামলা, যাতে ৩০ জন নিহত হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী দেশ থেকে ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি সেনাবাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেন, ‘জাতি একসঙ্গে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে কাজ করছে, ও ‘ফিতনা-উল-হিন্দুস্তানের’ বিরুদ্ধে অভিযান চলবে যতক্ষণ না তা সম্পূর্ণ নির্মূল হয়।’
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বরে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে সরকারের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে কেপি ও বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বেড়েছে। তবে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে সন্ত্রাসী হামলা ও মৃত্যুহার কমেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (পিআইসিএসএস)।
সূত্র: ডন
এসএএইচ