Google Alert – আর্মি
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বেড়েছে পাহাড় ধসের ঝুঁকি। এরই মধ্যে শুক্রবার (৩০ মে) সকালে রাঙামাটি শহরের যুব উন্নয়ন এলাকার একটি ঘরের ওপর ধসে পড়েছে পাহাড়ের মাটি। অধিকতর ধস এড়াতে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে স্থানটি।
শুধু যুব উন্নয়ন এলাকাই নয়; ছোট ছোট ধস হয়েছে লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন ও মোনাদাম এলাকায়। মাটি রক্ষার জন্য দেওয়া বস্তা ধসে ঢুকে গেছে ঘরের ভেতর।
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে উপজেলা পরিষদের সামনে আর্মি ক্যাম্পের সৌন্দর্য বর্ধনকারী কৃষ্ণচূড়া গাছটি উপড়ে পড়েছে। এতে যান চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, ধস প্রবণ এলাকা থেকে সরেননি বাসিন্দারা। ফলে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পড়ে আছে ফাঁকা। শুধুমাত্র লোকনাথ মন্দির আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ১৪ পরিবারের ৬২ জন। রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে আসলেও দুপুর পর্যন্ত খাবার না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তারা।
লোকনাথ মন্দির আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা মনোয়ারা বেগম বলেন, “রাতে বাসা থেকে খেয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসি। সকাল গড়িয়ে দুপুর হলো এখানো খাবার দেয়নি। বাচ্চাদের নিয়ে আছি। সারা রাত অনেক বৃষ্টি হয়েছে। আমাদের বাড়ির আশপাশের কিছু মাটি সরে গেছে। বাসায় যেতে ভয় পাচ্ছি।”
একই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা আইয়ুব খানও খাবার না পাওয়ার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “রাতে এখানে আসি। বিভিন্ন লোকজন খোঁজ নিচ্ছে, তবে কেউ খাবার দেয়নি। জেলা প্রশাসন থেকে সব ব্যবস্থা করবে বলা হলেও কিছুই পাচ্ছি না।”
রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আসমা বলেন, “রাঙামাটি সদরে ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও শুধু লোকনাথ মন্দির আশ্রয় কেন্দ্রে ১৪ পরিবারের ৬২ জন মানুষ অবস্থান করছেন। তালিকা অনুযায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের দুপুর ও রাতের খাবারের পাশাপাশি শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত) রাঙামাটি জেলায় ১৪০ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।