Google Alert – আর্মি
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার ৩০০ ফিটে বসেছে কুরবানির গরুর হাট। নিরাপত্তায় হাটজুড়ে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা, ড্রোন পর্যবেক্ষণ ও ওয়াচ টাওয়ার। এই হাটের ইজারাদার সুর্মি এন্টারপ্রাইজ, যার কর্ণধার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আখতার হোসেন। তিনি যুগান্তরকে জানান, পুরো হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোলরুম স্থাপন এবং র্যাব-পুলিশ, আনসারের নিয়মিত টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও হাট থেকে আর্মি ক্যাম্প ১০ মিনিটের দূরত্বে। এই হাট আনুমানিক এক কিলোমিটার জায়গা নিয়ে করা হচ্ছে। হাটে দুটি প্রবেশপথ থাকবে। হাটে চারজন চিকিৎসক থাকবেন। গরু ব্যবসায়ী ও ব্যাপারীদের থাকা খাওয়া, গাড়ি পার্কিং, ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ জেনারেটর ব্যবস্থাসহ ৩০০ ভলান্টিয়ার থাকবে। হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করা হচ্ছে, যাতে ক্রেতা-বিক্রেতারা নিশ্চিন্তে লেনদেন করতে পারেন। পাশাপাশি পাইকারদের জন্য রাখা হয়েছে থাকা-খাওয়ার বিশেষ ব্যবস্থা। জীবাণুমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজিং ও জীবাণুনাশক চেম্বারও স্থাপন করা হচ্ছে।
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, হাটের নিরাপত্তার জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। পুরো হাটে ২৪ ঘণ্টাই আমাদের নজরদারি থাকবে।
খিলক্ষেত থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও হাট পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য মোবারক হোসেন দেওয়ান যুগান্তরকে বলেন, ৩০০ ফিট গরুর হাটে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আছে।
এ হাটে ফ্যামিলির সব সদস্য নিয়ে ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো গরু কিনতে পারবেন। হাটে পাঁচ হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে। পিকআপ স্ট্যান্ড থাকবে যেখানে একশরও বেশি পিকআপ থাকবে। যাতে ক্রেতারা গরু কেনার পর নিশ্চিন্তে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম ও ভেটেরিনারি অফিসার সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবেন। হাটজুড়ে জনসচেতনতামূলক ব্যানার টানানো হচ্ছে। ৩০০ ফিট কুরবানির পশুর হাট এখন রাজধানীর অন্যতম নিরাপদ পশুর হাট। ক্রেতা-বিক্রেতারা এখানে নির্ভয়ে ও স্বস্তিতে কেনাবেচা সম্পন্ন করতে পারবেন-এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় এই নেতার।