Google Alert – পার্বত্য অঞ্চল
টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের সীমান্তবর্তী অঞ্চল। ঢলের কারণে সড়কে উপচে পড়েছে পানি। একই সঙ্গে ভারী বর্ষণে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। সেই সঙ্গে নগরীর অধিকাংশ এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
শনিবার (৩১ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সিলেটে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ১৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা রৌদ্রা তালুকদার। তিনি বলেন, ‘সিলেটে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর পানি কানিশাইল পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র ৯ সেন্টিমিটার নিচে, আর কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
এদিকে জকিগঞ্জ, বালাগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও বিশ্বনাথ উপজেলার অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে পড়েছে। সাদা পাথর, জাফলংসহ সীমান্তবর্তী পর্যটনস্পট পানিতে তলিয়ে গেছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাঁধন কান্তি সরকার বলেন, ‘নদ-নদীর পানি বাড়লেও আপাতত বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির কোনও আশঙ্কা নেই। উপজেলার নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হয়ে স্বল্প মেয়াদে বন্যা হতে পারে। বন্যা পরিস্থিতির জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
জাফলং পর্যটনস্পটের ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি শাহাদাৎ হোসেন জানান, জাফলংয়ে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে এবং নদীর পানি বাড়ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং পর্যটকদের ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপদে অবস্থান করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।