রাস্তায় কোরবানির চামড়া ফেলে ক্ষোভ প্রকাশ

Google Alert – সেনাপ্রধান

এমন দোষাদোষীর মধ্যেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ রাস্তায় পড়ে থাকা চামড়া ট্রাক দিয়ে সরিয়ে নেয়। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে এ বছর ৪ লাখ কোরবানি পশুর কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিলেন আড়তদাররা।

#চামড়া

রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ও লবণের দাম কম থাকায় এবার আড়তে ভালো দাম পাওয়ার আশা ছিল মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের। দিনভর চামড়া সংগ্রহের পর তা নিয়ে আড়তে যান তারা। কিন্তু আড়তদাররা হতাশ করেন তাদের। সেই ক্ষোভে অনেকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলেন কোরবানির পশুর চামড়া। তবে আড়তদাররা দোষ চাপাচ্ছেন ট্যানারি মালিকদের ওপর। তারা বলছেন, ট্যানারি মালিকরা দাম কম দেওয়ায় তারা বেশি দামে চামড়া কিনতে পারছেন না।

এমন দোষাদোষীর মধ্যেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ রাস্তায় পড়ে থাকা চামড়া ট্রাক দিয়ে সরিয়ে নেয়। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে এ বছর ৪ লাখ কোরবানি পশুর কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিলেন আড়তদাররা।

শনিবার সকাল থেকে পশু কোরবানির পর কাঁচা চামড়া সংগ্রহ শুরু করেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। দুপুরের পর সেই চামড়া নিয়ে যান নগরীর আতুরার ডিপো এলাকার চামড়ার আড়তে। কিন্তু সেখানে ৭০০-৮০০ টাকা দিয়ে কেনা চামড়ার অর্ধেক দাম বলেন আড়তদাররা। চামড়া সংরক্ষণ কঠিন হওয়ায় অনেকে লোকসানে তা বিক্রি করতে বাধ্য হন। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

নগরীর আগ্রাবাদের চৌমুহনী এলাকায় মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে চামড়া সংগ্রহ করে জড়ো করে থাকেন। সন্ধ্যার পর তারা তা নিয়ে যান আড়তে। প্রতি বছর কোরবানির ঈদে তাই জমজমাট হয়ে উঠে এই এলাকা। গত কয়েক বছর এ চিত্রে কিছুটা ভাটা থাকলেও এবার দিনভর বেশ জমজমাট ছিল এই এলাকা। কিন্তু আজ রোববার থেকে সেখানে সুনসান নিরবতা। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ সেখানে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

মৌসুমি ব্যবসায়ী সেকান্দর হোসেন বলেন, ‘৭০০-৮০০ টাকায় কেনা চামড়া আড়তদাররা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার বেশি দিয়ে কিনতে চাইছেন না। তাদের কাছে জিন্মি হয়ে আছি।’

তবে দ্বিমত পোষণ করে বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মুসলিম উদ্দিন বলেন, ‘লবণযুক্ত চামড়ার দাম এক হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। তাই লবণ ছাড়া চামড়া বেশি দামে কেনার সুযোগ নেই। এটা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অনেকে জানেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি ২০ ফুটের চামড়ায় প্রায় ৫০০ টাকা খরচ পড়ে। এর মধ্যে প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন খরচ, আড়তের খরচ সবকিছু অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া ট্যানারি মালিকরা প্রতিটি চামড়ায় ২০ শতাংশ বাদ দিয়ে দেন। এতে করে আড়তদাররাও খুব বেশি লাভ করতে পারেন না।’

এ বছর কোরবানির পশুর লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি বর্গফুট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর ঢাকার বাইরের চামড়ার দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি বর্গফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা করা হয়েছে। একই সঙ্গে খাসি ও বকরির চামড়ার দাম ২ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

আড়তদাররা জানান, ট্যানারিতে বিক্রির সময় ২০ শতাংশ বাদ দিয়ে প্রতি ফুটে ৫৫-৬০ টাকা পড়ে না। এছাড়া চামড়ার মানেও পার্থক্য থাকায় দামের হেরফের হয়।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#চামড়া

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *