jagonews24.com | rss Feed
তেহরানে একাধিক ইসরায়েলি হামলার পর ইরান সরকারিভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে।
এই হামলার প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী দেশ ইরাকেও। কাতার এয়ারপোর্টের ফ্লাইট ইনফরমেশন বোর্ডে দেখা যাচ্ছে, ইরানের পাশাপাশি ইরাকগামী ফ্লাইটগুলো একের পর এক বাতিল হচ্ছে।
নিরাপত্তাজনিত কারণে বিভিন্ন এয়ারলাইনস ইরাকের আকাশপথও এড়িয়ে চলতে শুরু করেছে।
কারণ ইরানের প্রতি অনুগত এমন ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যে, ইরানে যদি মার্কিন বা ইসরায়েলি হামলা হয়, তাহলে মার্কিন ঘাঁটিগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির একজন উপদেষ্টা বলেন, ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ইরাক সরকার টানা আলোচনা চালাচ্ছে, যাতে ইরানের ওপর হামলা হলে ঐ গোষ্ঠীগুলো কোনো পাল্টা প্রতিক্রিয়া না দেখায় । কারণ, ইরাক কোনো নতুন যুদ্ধে জড়াতে চায় না।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর আরেকজন ফরেন পলিসি বিষয়ক উপদেষ্টা এর আগে সতর্ক করে বলেছিলেন– ইরানে যদি এবার কিছু ঘটে, তাহলে তা এমন কিছু হবে যা আমরা আগে দেখিনি।
তিনি ঠিকই বলেছিলেন। এর আগে ইরান ও ইসরায়েলের মাঝে পাল্টাপাল্টি হামলা দেখা গেলেও ইরানের মাটিতে এমন সরাসরি সামরিক অভিযান ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর এবারই প্রথম।
ইরানে ইসরায়েলি হামলার এই সময়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মাত্র দুইদিন বাদেই আগামী রোববার ওমানের মাস্কটে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ দফা আলোচনা হওয়ার কথা ছিলো।
আমি নিজেও ওই অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এখন সবকিছু অনিশ্চিত। এই আলোচনা আদৌ এখন আর হবে কিনা, তা অজানা। আর তার থেকেও বেশি অজানা বিষয় হলো মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ।
সূত্র: বিবিসি
এমএসএম