Google Alert – কুকি চিন
Last Updated:
Snake Viral News: বেগুসরাইয়ের ছোট্ট গ্রামের ছেলে রাকেশ কুমার, যিনি একসময় ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, এখন তিনি সাপের জগতে এতটাই মগ্ন যে স্থানীয়রা তাঁকে ‘নাগরাজ’ রক্ষাকর্তা বলতে শুরু করেছে। রাকেশের বাড়িতে ৪০টি জীবন্ত সাপ রয়েছে, যার মধ্যে কিছু অত্যন্ত বিষধর, কিছু অজগর এবং কিছু বিষহীন সাপও (হর্সনেক সাপ)।
বেগুসরাই: বিহারের বেগুসরাইয়ের ছোট্ট গ্রামের ছেলে রাকেশ কুমার, যিনি একসময় ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, এখন তিনি সাপের জগতে এতটাই মগ্ন যে স্থানীয়রা তাঁকে ‘নাগরাজ’ রক্ষাকর্তা বলতে শুরু করেছে। রাকেশের বাড়িতে ৪০টি জীবন্ত সাপ রয়েছে, যার মধ্যে কিছু অত্যন্ত বিষধর, কিছু অজগর এবং কিছু বিষহীন সাপও (হর্সনেক সাপ)। বেগুসরাই, খাগারিয়া বা মুঙ্গেরের কোথাও সাপ বেরলেই মানুষ রাকেশকে ডেকে পাঠান। রাকেশের এই গল্প কোনও সিনেমার থেকে কম নয়। জানুন কে এই রাকেশ…
রাকেশ ভগত নামেই মানুষ চেনে এই যুবককে। বিহারের বেগুসরাই জেলার মহিপাতল হারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাকেশ কুমার ‘নাগরক্ষক’ নামে পরিচিত। পড়াশোনার ফাঁকে একদিন তিনি অনুভব করেন, এক অদৃশ্য শক্তি তার সঙ্গে রয়েছে। রাকেশের কাকার শরীর খারাপ ছিল এবং মানুষ ভগতের কাছে চিকিৎসার জন্য যেত, অনেকেই তাঁর কাকাকে বলতেন আপনার চিন্তা নেই, কারণ আপনার বাড়িতে ভাইপো ভগত রয়েছে। ধীরে ধীরে তিনি বুঝতে পারেন তিনি ভগবানের বিশেষ ভক্ত। এই গল্পটা একটু ফিল্মি মনে হলেও, সত্যি।
সাধারণ গ্রামবাসীদের দাবি, রাকেশ সাপেদের সঙ্গে কথা বলে। তাদের স্পর্শ করুন। কোনও ভয় ছাড়াই তাদের সঙ্গে খেলাও করেন। গ্রামের শিশুদের জন্য এটা একটা অ্যাডভেঞ্চারের চেয়ে কম কিছু নয়, বয়স্কদের জন্য এটা বিশ্বাসের ব্যাপার। আবার কারও কাছে এটা একটা রহস্য। রাকেশ তার কিছু সহকর্মী গ্রামবাসীকে কীভাবে সাপ ধরতে হয় এবং তাদের সাপুড়ের কাজে সহায়তা করতে হয় তাও শিখিয়েছেন। রাকেশের দাবি, তিনি ৪০টি বিষধর সাপ রেখেছেন তাঁর কাছে, গ্রামবাসীরাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ক্যামেরার সামনে গ্রামবাসীদের সামনে মাত্র চারটি সাপ দেখানোর অনুমতি দিয়েছেন তিনি। যাতে নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখা যায়।
রাকেশ জানান, সাপ ধরার সময় সাপও অনেক সময় কামড়ায়, কিন্তু ঈশ্বরের আশীর্বাদ তাতে তাদের কিছুই হয় না। বেগুসরাই, খাগারিয়া এবং মুঙ্গের জেলার কোথাও কোনও সাপ দেখা গেলেই, রাকেশকে ডাকা হয়। তিনি শুধু নিরাপদেই সাপ ধরতে পারেন না, তাদের নিরাপদে জঙ্গলে ছেড়েও দিয়ে আসেন। এর পরেও তিনি নিজেকে সাপুড় মনে করেন না। মানুষের হাত থেকে সাপকে বাঁচানোই রাকেশের লক্ষ্য। তিনি বলেন, “মানুষ সাপকে যতটা ভয় পায়, ততটাই ভয় পায়। সাপও মানুষকে সমানভাবে ভয় পায়।”
Kolkata,West Bengal
June 30, 2025 10:04 AM IST