হামাস আতঙ্কে বিমানবাহিনী চায় ইসরাইলি সেনারা

Google Alert – সেনা

ইসরাইলি সেনাদের চোখে-মুখে এখন আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। হামাসের প্রতিরোধ এতটাই কৌশলী হয়ে উঠেছে যে, গাজায় দ্রুত বিমান হামলা চাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সেনা কর্মকর্তারা সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, গাজায় শত্রুপক্ষকে শনাক্ত করার পরও বিমানবাহিনীর (আইএএফ) হামলায় সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। আর এই বিলম্বই প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে সেনাদের। গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) হামাসের ফাঁদে পড়ে নিজেদের সাঁজোয়াযানেই মৃত্যুবরণ করেছেন ইসরাইলি সাত সেনা। এ ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ইসরাইলি সেনাদের মাঝে। সোমবার জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

বুধবার (২৫ জুন) এক বিবৃতিতে ইসরাইলির প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, নিহত সেনাদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা ও বাকি ছয়জন সেনা। নিহতদের সবার বয়স ১৯ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা সবাই ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ৬০৫তম কম্ব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নভুক্ত ছিলেন। আইডিএফের প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, এই ব্যাটালিয়নের সেনাদের বহনকারী পুমা সাঁজোয়াযানটি খান ইউনিস শহরের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় এক ফিলিস্তিনি যোদ্ধা সেটিতে বোমা স্থাপন করে দেয়। পরে বোমাটি বিস্ফোরিত হওয়ায় সাঁজোয়াযানটিতে আগুন ধরে যায়। আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি। এতে ভেতরে থাকা সব সেনার মৃত্যু হয়। খান ইউনিসে এদিন পৃথক আরেক ঘটনায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের রকেটচালিত গ্রেনেড হামলায় ইসরাইলি বাহিনীর একই ব্যাটালিয়নের আরও দুই সেনা আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনার পর থেকেই কয়েকজন ইসরাইলি সেনা প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, টার্গেট শনাক্ত করার পরও অনেক সময় প্রয়োজনীয় হামলা চালাতে দেরি করছে ইসরাইলি বিমানবাহিনী (আইএএফ)। ফলে সেনাদের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে। তারা আরও বলেছেন, ‘ইসরাইল থেকে ১৫০০ কিমি. দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা সম্ভব হলেও সীমান্ত ঘেঁষা গাজায় দ্রুত আঘাত হানতে এত দেরি কেন?’ একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হামলা বিলম্বিত হলে যানবাহনের ভেতরই সেনারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তারা মনোযোগ হারায়। এভাবে চলতে থাকলে ঝুঁকি আরও বাড়তেই থাকবে।’

Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *