Google Alert – পার্বত্য চট্টগ্রাম
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পাহাড়ি ফল সুস্বাদু এবং অর্গানিক খাদ্যের ভবিষ্যৎ প্রতিচ্ছবি। পাহাড়ি ফল মেলার এবারের আয়োজন কেবল একটি প্রদর্শনী নয় বরং পাহাড়ের মাটির ঘ্রাণ, নারীর শ্রম ও প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের অপূর্ব সম্মিলন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে পাঁচ দিনব্যাপী (১-৫ জুলাই) পাহাড়ি ফল মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। বুধবার (২ জুলাই) বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
উপদেষ্টা আরও বলেন, রাজধানীর ব্যস্ত ও যান্ত্রিক জীবনের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে এবারের পাহাড়ি ফল মেলা সাজানো হয়েছে। রাজধানীতে একটি ফল ‘হাব’ তৈরি করতে পারলে ঢাকাবাসী সরাসরি পাহাড়ি ফলের স্বাদ পাবে। পাহাড়ি নারীরা অর্গানিক ফল চাষে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন এবং সরকার তাদের প্রণোদনা ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের গবেষণায় বর্তমানে পাহাড়ে বছরে দুইবার ফল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে, যা বৈপ্লবিক অগ্রগতি বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
মেলায় অর্গানিক ফলের মধ্যে রয়েছে- আড়াই কেজি ওজনের ‘ব্রুনাই কিং’ আম, চিয়াংমাই আম, রাম্বুটান, প্যাশন ফ্রুট, বিদেশি পেঁপে, পাহাড়ি আনারস, কাঁঠাল, আম ও কলা।
পাহাড়ি ফল মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক। মেলায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকারের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা।
মেলায় মোট ৩০টি স্টল অংশ নিয়েছে। পাহাড়ি ফলমেলা ৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
এমইউ/এমএএইচ/জিকেএস